সবাইকে সবকিছু জানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে ঘর-সংসারে কিছু জিনিস জানা না থাকলে, অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয়। জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।

১. অনেকদিন বন্ধ থাকা বা অব্যবহৃত কোনো ঘর হঠাৎ খুললে একটা ভ্যাবসা গন্ধ বের হয়৷ তখন ২/৩টা ম্যাচের কাঠি জ্বালান। দ্রুত ঘর থেকে ভ্যবসা গন্ধ চলে যাবে।

২. চশমা ঝকঝকে পরিষ্কার রাখতে হলে এক ফোঁটা ভিনিগার দিয়ে কাঁচ পালিশ করুন।

৩. ফ্রিজের গায়ে কোনো দাগ থাকলে টুথপেস্ট দিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।

৪. চা-পাতা ফোটানো ঠান্ডা পানি দিয়ে কাঠের আসবাবপত্র পালিশ করুন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

৫. গরম পোশাক বা সিল্কের পোশাক ধোয়ার পর দুই টেবিল চামচ ইউক্যালিপটাস তেল মেশানো জলে আরও একবার জামাকাপড়গুলো ডুবিয়ে নিন তাহলে পোকায় কাটার সম্ভাবনা থাকে না। এ ছাড়াও পোষাকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

৬. উলের পোশাক ধোওয়ার পর এক বালতি পানিতে হাফ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে ডুবিয়ে রাখুন। পোশাকে নরমভাব বজায় থাকবে।

৭. বাচ্চাদের জামা বা কাঁথায় বমির দূর্গন্ধ থেকে গেলে তাহলে কাচার পর পানিতে হাফ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে আরও একবার ডুবিয়ে নিন। দূর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

৮. নেলপালিশ শুকিয়ে গেলে ইউক্যালিপটাস তেল দিন। নরম হয়ে যাবে। নেলপালিশ ফ্রিজে রাখলে সহজে শুকায় না।

৯. জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় পানির ছিটার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পারফিউম ফেলে দিন। সারাদিন পুরো কাপড়ে সুগন্ধ থাকবে।

১০. কাঠের ওপর বাচ্চারা অনেক সময় আঁকিবুঁকি কাটে। সেগুলো তুলতে সিগারেটের ছাই খুব ভালো কাজ করে। একটা পাতলা কাপড়ে সিগারেটের ছাই নিয়ে ঘষলে দাগ উঠে যাবে।

১১. চিনির পাত্রের মধ্যে দুই-চারটি লবঙ্গ ফেলে রাখলে চিনিতে পিঁপড়ে আসবে না।

১২. বিস্কুটের পাত্রে এক টুকরো ব্লটিং পেপার রেখে দিন। বিস্কুট মিইয়ে যাবেনা।

১৩. দুধ পুড়ে গেলে সেই পোড়া গন্ধ দূর করতে দুধের মধ্যে পান পাতা ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পোড়া গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

১৪. ভোজ্য তেলে ৮-১০টি গোলমরিচ ফেলে দিন। অব্যবহৃত হলেও তেল দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।