ঘরে ইঁদুর থাকা মানেই আপনার দামি জামাকাপড় দাঁত দিয়ে কেটে নষ্ট করবে তারা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের অসুখও ছড়াতে পারে। আর রাত যত গভীর হয়, ইঁদুরের উৎপাতও ততোই বেড়ে যায়। যা ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

গ্রামে অনেকেই বাড়িতে বিড়াল পোষেন, আবার সখের বিড়াল না থাকলেও বাড়িতে দুই একটি এমনিতেই থাকে। শোনা যায় ইঁদুর মারার জন্য বিড়াল খুব কার্যকরী। কিন্তু শহরের বদ্ধ পরিবেশে সবার পক্ষে বিড়াল পোষাটা খুব সহজ নয়। আর ব্যস্ত জীবনে তা হয়েও ওঠে না। অন্যদিকে, ঘরে ইঁদুর মারার ওষুধ রাখাটাও খুব নিরাপদ নয়। তাতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। বিশেষ করে যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা রয়েছে।

তবে বিড়াল নেই বলে কি সহ্য করবেন ইঁদুরের যন্ত্রণা? ঘর থেকে ইঁদুর তাড়াবেন কীভাবে, জেনে নিন কয়েকটা ঘরোয়া উপায় যার সাহায্যে সহজেই বাড়ি থেকে ইঁদুর তাড়াতে পারবেন-

লবঙ্গঃ লবঙ্গের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না ইঁদুর। ইঁদুর তাড়াতে লবঙ্গ থেতো করে একটা কাপড়ে জড়িয়ে ব্যবহার করতে পারেন বা লবঙ্গ তেল ও ব্যবহার করতে পারেন। তুলা লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে ঘরের আশেপাশে রেখে দিন।

গোলমরিচঃ গোলমরিচের কড়া গন্ধ শুধুমাত্র ইঁদুর নয়‚ পিঁপড়ে‚ আরশোলা পোকামাকড় তাড়াতেও সাহায্য করে। ঘরের কোণায় গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন। তবে বাড়িতে বাচ্চা বা পোষ্য প্রানী থাকলে গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়াবেন না। তার বদলে গোলমরিচের গুঁড়ো কাপড়ে মুড়ে ঘরের চরিদিকে রাখুন।

পেঁয়াজঃ পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না ইঁদুর। পেঁয়াজের রস করে তাই দিয়ে ঘর মুছতে পারেন বা পেঁয়াজ কেটেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে পোষ্য প্রাণীরাও পেঁয়াজের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।

বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডার সাহায্যেও ইঁদুর আর অন্য পোকামাকড় ঘর থেকে তাড়ানো যায়। এতে বাচ্চা বা পোষ্য প্রাণী থাকলে তদেরও কোনো ক্ষতি হয় না। রাতে শুতে যাওয়ার আগে বেশ খানিকটা বেকিং সোডা নিয়ে ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। যে জায়গায় সব থেকে বেশি ইঁদুরের উৎপাত সেই জায়গায় বেশি করে দিন।

পেপারমিন্ট তেল: পেপারমিন্ট তেলের গন্ধও সহ্য করতে পারে না। ইঁদুর তাড়াতে পেপারমিন্ট তেল দিয়ে তুলো ভিজিয়ে ঘরের চারিদিকে রাখুন। গন্ধ হাল্কা হয়ে এলে তুলো পাল্টে দিন।