৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের প্রশ্নপত্রে কয়েকটি ভুল থাকলেও কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছেন পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) পরীক্ষাটি হয়।

বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রশ্নপত্রে অন্তত ৪টি প্রশ্নে ভুল ছিল। রাজধানীর বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকরা সেই ভুল সংশোধন করে দিলেও বেশিরভাগ কেন্দ্রেই তা হয়নি। তীব্র প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় ভুলগুলোর কারণে লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

৩৮তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘38th Bcs: Our Goal’ এ পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে পোস্ট দিয়েও হতাশার কথা জানাচ্ছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা এক পরীক্ষার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৪টি সেটেই ৪টি প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন ভুল রয়েছে। যেমন, আমার নজরে এসেছে ১ নম্বর সেটের ৬ নম্বর প্রশ্নটি। সেখানে শুদ্ধ বানান চেয়েছে অথচ অপশনগুলোতে কোনও শুদ্ধ বানানই নেই। আবার ১৫১ নম্বর প্রশ্নের গ নম্বর অপশনে প্রিন্টিং মিসটেক আছে। এ নিয়ে আমরা সবাই কনফিউজড। ১৫২ ও ১৫৭ নম্বর প্রশ্নেও অপশনগুলোতে প্রিন্টিং মিসটেক আছে, যার জন্য সবাই কনফিউজড হয়ে উত্তর দেয়নি বা ভুল উত্তর দিয়েছে।’

এ সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বাংলা ট্র্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের ভুলত্রুটি আমাদের নজরেও এসেছে। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। এ জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কয়েক সেট প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেই। প্রশ্ন তৈরি করার পর খুব গোপনীয়তার সঙ্গে প্রুফ রিডিং করা হয়। এর সঙ্গে পিএসসির কেউ জড়িত নয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে পরীক্ষা গ্রহণ পর্যন্ত আমাদের প্রশ্ন দেখার সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্রগুলোর প্রুফ দেখার পর ছাপাখানায় গেলেও কিছু প্রিন্টিং মিসটেক হয়ে যায়। আমরা শতভাগ চেষ্টা করি যেন কোনও ভুল না হয়। তবুও যেহেতু হয়েছে, আমরা চাই না এর জন্য কেউ বিন্দু পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আমরা একটা সমাধান বের করবো। প্রার্থীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’

খবর - বাংলা ট্রিবিউন থেকে নেওয়া...