বিট রুট বা বিট কপি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ও ওজন নিয়ন্ত্রনে বেশ ভালো কাজ করে। তাহলে দেখে নিন কিভাবে তৈরি করবেন স্বাস্থ্যকর বিট রুটের জুস। 

প্রথমে ভালো মানের ও পুষ্ট দেখে বিট কপি নিয়ে নিন। এগুলো পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুতে হবে। ধোয়ার সময় এর উপরের খোসা ভালো ভাবে স্ক্রাব করে নিবেন। তাতে করে এর গায়ে লেগে থাকা সকল ময়লা পরিস্কার হয়ে যাবে। এর পর বিট কপির উপরের অংশ ও নিচের অংশ কেটে নিন। সব গুলো কাটা হয়ে গেলে জুসারে দিয়ে একে একে সব গুলো জুস করে নিন। এর পর জুস ছাকনি দিয়ে ছেকে গ্লাসে নিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে এতে মধু, সামান্য সন্ধক লবন, লেবুর রস দিতে পারেন। ব্যাস হয়ে গেলো বিট রুট বা বিট কপির জ্যুস।

বিঃদ্রঃ আপনার বাসায় জুসার না থাকলে, বিট কপি টুকরো টুকরো করে কেটে তারপর সাধারন ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।

এখন দেখে নিন বিট রুটের জুসের কিছু উপকারীতা

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

যেভাবে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে আমাদের নাগরিক জীবন কাটে তাতে রক্তচাপ একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় রক্তকে ঠান্ডা করতে পারে একমাত্র বিটের রক্তিম রস। আসলে রক্তের মতোই দেখতে এই রসটিতে রয়েছে নাইট্রেস, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফিরে আসে

রক্তে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিক উপাদানদের শরীরে থেকে বার করে দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করে তুলতে বিটের রসের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো মুখের ক্যানভাসে যদি কালো ছোপ বা ব্রণর দাপাদাপি থাকে, তাহল আজই বিটের রসের পান করার শুরু করুন।

শরীর বিষমুক্ত করে

বিটের অন্দরে রয়েছে বিটালায়েন্স নামে একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা দেহে উপস্থিত টক্সিক উপাদানকে শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এখানেই শেষ নয়, বিটের রসে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

শরীর চাঙ্গা রাখে

গলা দিয়ে গড়িয়ে রসটা যখনই রক্তে মেশে অমনি সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অংশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ঘাটতি হতে থাকা ফিজিকাল এনার্জিও ফিরে আসে। শুধু তাই নয়, স্ট্রেসও কমতে থাকে। তাই এবার থেকে অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত-অবশান্ত লাগলে ঝপ করে এক গ্লাস বিটের রস বানিয়ে খেয়ে ফেলবেন। দেখবেন নিমেষে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।

হজম ক্ষমতা বাড়ে

বাড়ির বাইরে খেতে খেতে পাকস্থলি কাজ করা বন্ধ করে দিতে বসেছে। ফলে বাড়ছে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ? কাল থেকে এক গ্লাস করে বিট রুটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন পাকস্থলি তার হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফিরে পাবে। ফলে হজম ক্ষমতা এমন বেড়ে যাবে যে অম্বল ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

ডায়াবেটিস দূরে রাখে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বিটের শরীরে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ইনসুলিনের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।