উপকরণ: লাউ1 টি। দুধ–3 লিটার। গুড়া দুধ:-1কাপ ঘি1 কাপ। চিনি1 কাপ।(কম বেশি পছ্ন্দ অনুযায়ি) এলাচ4 টি (টেলে গুঁড়া করা) এলাচ-2 টি।

আরো লাগবেঃ দারচিনি–4 টুকরা(2 সে মি) তেজপাতা-1টি(দুই টুকরো করা) গোলাপজল-1 চা চামচ। কাজুবাদাম–2 চা চামচ। পেস্তাবাদাম কুচি–1/3 কাপ। চিনাবাদাম ভাজা–1/3 কাপ। কিসমিস-1/3 কাপ। লবণ সামান্য।

প্রনালী:
মাঝারি আকারের একটি কচি লাউ খোসা ছাড়িয়ে ,বিচি সহ নরম অংশ কেটে বাদ দিতে হবে।সবজি কুরুনি দিয়ে লাউ ঝুরি করে পানিতে রাখতে হবে। ঝুরি লাউ পানি থেকে তুলে,পরিস্কার পাত্রে 5 মিনিট সিদ্ধো করে নরম মশারির কাপড়ে ছেঁকে ঝুলিয়ে রাখতে হবে ,ঠান্ডা হলে পরে পুটলিটাকে চিপে পানি নিংড়াতে হবে।যতক্ষণ পযন্ত পানি থাকে। একটি ছড়ানো থালায় হাত দিয়ে ছড়িয়ে রাখতে হবে। দুধ মাঝারি আঁচে চুলায় দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে।ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে 1ঘন্টা নাড়তে হবে।দুধ শুকিয়ে ঘন থক থকে হয়ে পাত্রের তলায় ক্ষীরসার মত হলে নামাতে হবে। এবং বাদাম কুচিগুলো অল্প তেলে ভেজে রাখতে হবে। একটি পরিস্কার প্যানে ঘি গরম করে তেজপাতা,আস্ত এলাচ,দারচিনি দিয়ে নেড়ে লাউ ও লবণ দিয়ে ভাজতে হবে 5 মিনিট। পরে চিনি দিয়ে মিশাতে হবে।চিনির পানি একটু শুকিয়ে আসলে ক্ষীরসা অল্প অল্প করে দিয়ে নেড়ে ভালো ভাবে মিশাতে হবে।পরে গুঁড়া দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। একেএকে গোলাপজল,গুঁড়া দুধ , চিনাবাদাম,কাজুবাদাম, পেস্তাবাদামের অর্ধেক ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে।(তলায় যেনো লেগে না যায়।লেগে গেলে স্বাদ,ঘ্রাণ ও রং কোনোটাই থাকবে না)।লাউ প্যান থেকে উঠে আসলে বা ঘি উপরে উঠলেই নামাতে হবে। ঠান্ডা হলে মনের মাধুরী মিশিয়ে উপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।দারুণ স্বাদের বাদশাহী লাউ ক্ষীরসা।