পরিমান ও উপকরণ 

– হাফ কেজি বা তার কম চালের গুড়া (আমরা মোটামুটি এক কাপ হাতে বানানো সেমাই পিঠা নিয়েছি, বাকী কাই রেখে দিয়েছিলাম)

– সামান্য লবন/পানি (কাই বানাতে যা লাগে)

– এক লিটার দুধ বা তার কম দুধকে জ্বাল দিয়ে হাফ লিটার বা তার কম করে নিতে হবে।

– দুই তিনটে এলাচি

– দুই তিন টুকরা লবঙ্গ

– হাফ কাপ নারিকেল কুরানো

– পরিমান মত খেজুরের রাব বা গুড়।

প্রস্তুত প্রনালী


শুরু থেকে দেখাতে গেলে ছবি অনেক বেশী হয়ে যায় তাই এখান থেকেই দেখানো হল। চালের গুড়ায় সামান্য লবন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে অল্প অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে গুলে গুলে অবশেষে হাত দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে এই কাই বানিয়ে ফেলতে হবে। কাই বানিয়ে পাত্রে রেখে ঢেকে রাখতে হবে। এই কাইটা খুব নরম না, আমার খুব শক্তও হবে না। কাই থেকে ছোট ছোট গোলা করে নিন।


এবার কাইয়ের গোলা কে হাত দিয়ে বেলে মোটা সুতায় রুপান্তরিত করুন। মোটা সুতা থেকে চিকন সুতা (যত চিকন করে ফেলায় যায় ততই স্বাদ বা দেখেতে ভাল দেখায়) করে ফেলুন।


অনেকটা এমন।


এটাই হচ্ছে টেকনিক। কাই সুতার সামান্য চিড়ে হাতের তালু একবার পিছনে এবং আবার সামনে এনে ঘষা দিয়ে কাই সুতার দুই মাথাই চিকন করে ফেলা হয়।


এভাবে জমিয়ে ফেলতে হবে।


চালুনী দিয়ে চেলে পিঠা গুলোকে আলাদা করে নিতে হবে। তবে এভাবে পিঠা গুলোকে কিছুক্ষন রেখে দেয়াই ভাল। ঘন্টা খানেক বা তারও পরে বের করে রান্না করাই উত্তম।


পিঠা বানানো শেষ হয়ে গেলে একটা হাড়িতে দুধ গরম করতে থাকুন। দুধে কয়েকটা এলাচি এবং কয়েক টুকরা দারুচিনি দিতে ভুলবেন না। (দুধ গরম করতে সাবধান! যারা নূতন রান্না করছেন তাদের জন্য বলছি, সামান্য বেখালিতেই দুধ উপছে পড়ে যেতে পারে।)


পিঠা সহ এই হচ্ছে যাবতীয় উপকরণ। কুরানো নারিকেল, রাব (আপনারা চাইলে খেজুরের গুড় বা চিনি দিয়েও রান্না করতে পারেন)।


এবার দুধে খেজুরের রাব দিন। রার দিতে থাকবেন এবং নাড়াবেন। (ভাল রাব হওয়া চাই, গুড় বা রাবে যদি সোডা থাকে তবে দুধ ফেটে যেতে পারে তাই বিশুদ্ধ হওয়া উচিত)


নারিকেল কুরানো দিয়ে দিন, ভাল করে জ্বাল হয়ে গেলে এবার পিঠা দিয়ে দিন এবং নাড়িয়ে দিন।


এই হচ্ছে ফাইন্যাল প্রোডাক্ট। জিহব্বায় লাগিয়ে মিষ্টি দেখুন, যদি আরো মিষ্টি চান তবে আরো রাব বা গুড় দিতে পারেন।  আমি কম মিষ্টি পছন্দ করি।


ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। হাতে বানানো সেমাই পিঠার রান্না।

ঠান্ডা বা গরম দুভাবেই খাওয়া যেতে পারে। আপনার যেমন ইচ্ছা। রাতে বানিয়ে সকালেও খাওয়া যেতে পারে।

ধন্যবাদ রেসিপি প্রিয় পাঠক/পাঠিকা/ভাই/বন্ধু। শীতে পিঠা খেয়ে আপনারা আনন্দ পান, এটাই আমাদের চাওয়া। বিশেষ করে আমাদের শহুরে শিশুদের পিঠা চিনিয়ে দিন, নতুবা পিঠা কি জিনিষ আর চিনবেই না! এমনিতেই আমাদের কত পিঠা হারিয়ে গেচ্ছে, এখন আর কেহ অনেক পিঠার নামও জানেন না।