মহিলাদের প্রজনন প্রণালীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া সাদাস্রাব (ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ)। যোনি বা যৌনাঙ্গের ভিতরে অবস্থিত গ্রন্থি থেকে বেরোয় এই সাদাস্রাব। এতে মূলত মৃতকোশ ও মৃতজীবাণু বেরিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখে। সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায়। কিন্তু সাদাস্রাবের অস্বাভাবিকতা মোটেও সুস্থতার লক্ষণ নয়। গোপনাঙ্গের জীবাণুরা অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। বদলে যেতে পারে স্রাবের গন্ধ, বর্ণ ও ধরন।

কী কী কারণে হয় অস্বাভাবিক সাদাস্রাব?
১] অ্যালোপ্যাথি ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড খেলে অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে জীবাণুরা। হতে পারে অস্বাভাবিক সাদাস্রাব।

২] গর্ভবতী মহিলাদের এই সমস্যায় খুব বেশি মাত্রায় ভুগতে দেখা যায়। সমস্যাটির নাম ব্যাক্টেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস। এটি এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ। গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে হতে পারে। যৌনসংক্রমণ যেমন ক্ল্যামেডিয়া বা গনোরিয়া এর কারণ।

৩] ডায়াবিটিজ়ের কারণেও গোপনাঙ্গে জীবণুদের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। গোপনাঙ্গে সুগন্ধি সাবান, পারফিউম ব্যবহার করলেও হতে পারে এই সমস্যা। ইস্ট (এক ধরনের ফাঙ্গাস) ইনফেকশন, চুলকানির কারণেও হতে পারে। মেনোপজ়ও অন্যতম কারণ।

অস্বাভাবিক সাদাস্রাব রুখতে পারে ৬টি খাবার। কী কী তা জেনে নিন –
মেথি – যৌনাঙ্গের pH মাত্রা বাড়ায় মেথি। এক চামচ গোটা মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সেই মেথি ভেজানো জল খেয়ে নিন।

কলা – প্রতিদিন ১-২ কলা খাওয়া খুব জরুরি। কলায় এমন গুণ আছে যা অস্বাভাবিক যোনিস্রাবের সমস্যা পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে। একই সঙ্গে মেটাতে পারে হজম সমস্যাও।

আদা – এক চামচ আদাগুঁড়ো জলে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই জল পান করুন। অস্বাভাবিক স্রাব স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাবে।

পেয়ারা পাতা – কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিন। গরম জলে ফুটিয়ে নিন ১০-১৫ মিনিট। জল থেকে পাতা আলাদা করে ঠান্ডা হতে দিন। স্নানের সময় সেই জল দিয়ে যোনি পরিষ্কার করুন।

বেদানা – প্রতিদিন একগ্লাস বেদানার রস খান। বা বেদানার পাতা মিক্সিতে বেটে জল ও গোলমরিচ মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। উপকার পাবেন।