রাতের খাবারের পর থেকে সকালের নাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা হয়। কেউ কেউ আছেন ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সকালে নাস্তা না করে একবারে দুপুরে খাবার খেয়ে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়। সারাদিন শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালের নাস্তা হওয়া চাই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফাইবার ও আয়রন সমৃদ্ধ।

সকালের নাস্তাটা তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর এবং ভারী হতে হয়। তবে সব ভারী খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাস্থ্যকর নাস্তা দিয়ে দিন শুরু করুন বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে আগ্রহী। ওজন কমানোয় পরিপূর্ণ সকালের নাস্তা খেয়ে সফল হওয়া নির্ভর করবে নাস্তার মান এবং কোন খাবারগুলো খাচ্ছেন তার উপর। যারা মেদ কমাতে চান তারা সকালের নাস্তায় বিশেষ কিছু খাবার রাখতে পারেন। এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানিয়েছে লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই। সেগুলো কী কী আসুন দেখে নিই-

সকালের নাস্তায় সালাদ খেতে পারেন। সালাদের নাম শুনে চোখ কপালে উঠে গেছে? সালাদ মানেই শুধু শসা, টমেটো এবং গাজর, তাতো নয়। এর সাথে সেদ্ধ ডিম বা মাংস অথবা ছোলাবুট মিশিয়ে একা করে তুলতে পারেন আরও স্বাস্থ্যকর। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং দিনের শুরুটা চমৎকার করতে এটি বেশ কাজে দেবে।
ওটে ক্যালোরি কম ও আঁশ প্রচুর পরিমাণে থাকে তাই প্রতিদিন সকালে এটি খেতে পারেন। এতে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে দেয় না। বাদামও পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে সাহায্য করে। ওটমিল কোলেস্টেরল কমায়।
প্রোটিনের চমৎকার দুটি উৎস ডিম ও দই। ডিমে মেদ কমাতে সাহায্যকারী উপাদান রয়েছে। তাই সকালের নাস্তায় একটি ডিম রাখা জরুরি। দই পেটে মেদ জমতে দেয় না তাই সকালে নিয়মিত দই খেতে পারেন।
আপেল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। আঁশজাতীয় খাবার হওয়ায় এটি খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খান। কলা পেটে মেদ জমতে দেয় না। ওটমিলের সঙ্গে কিংবা শুধু কলাও সকালের নাস্তায় খেতে পারেন।
সকালের নাস্তায় সবচেয়ে ভালো হয় ফলমূল খেলে। কলা, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, আঙুর ইত্যাদি ধরণের ফলমূল অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। ইচ্ছে হলে ফলমূল দিয়ে ফ্রুটস সালাদও তৈরি করে খেতে পারেন।
ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা করুন।