আমলকীর তেল

যা যা লাগবে - আমলকী, নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল

যেভাবে তৈরি করবেন - কয়েকটি তাজা আমলকী থেকে বিচি বের করে নিন। আমলকীর টুকরা গ্রিন্ড করে রস বের করুন। আমলকী গ্রিন্ড করে নিন। আমলকীর রসের সঙ্গে নারিকেল তেল মেশান একটি পাত্রে ২ ভাগ আমলকীর রসের সঙ্গে ১ ভাগ নারিকেল তেল মেশান। সামান্য অলিভ অয়েল মেশাতে পারেন। তবে তেলের পরিমাণ যেন আমলকীর রসের চাইতে বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। মিশ্রণটি চুলায় মাঝারি আঁচে রাখুন ৫ থেকে ১০ মিনিট। চুলা থেকে তেল নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন তেল নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করুন আমলকীর তেল। ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করুন

ব্যবহার - গোসল করার ৪৫ মিনিট আগে আমলকীর তেল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এটি চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে। অকালে চুল পাকা রোধ করে ভেষজ এ তেল। ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, ১ চা চামচ মধু ও ১০ ফোঁটা আমলকীর তেল মেশান। শ্যাম্পু করার পর দ্রবণটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাথার তালু ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। নিয়মিত আমলকীর তেল ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে আমলকীর তেল। চুলে ঝলমলে ভাব আনতে আমলকীর তেল কুসুম গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল তৈরির পদ্ধতি

অলিভ ওয়েল সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। রুপচর্চার নানা কাজে লাগে অলিভ ওয়েল। আমরা বাজার থেকে কিনে ব্যবহারও করে থাকি এই তেল। আমরা বাজারে যে অলিভ ওয়েল দেখি তা খুবই নিকৃষ্ট মানের। কারণ আসল অলিভ ওয়েলের দাম কয়েক লক্ষ টাকা লিটার। পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি ও সুস্বাদু অলিভ অয়েল পাওয়া যায় ইটালি তে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে ইতালি এই ব্যবসাতে রাজত্ব করে আসছে। এখন দেখা যাক কিভাবে আমরা ঘরে তৈরি করতে পারি অলিভ ওয়েল।

অলিভ অয়েল ঘরে তৈরির প্রনালী

প্রথমে একটি পাত্রে যথেস্ট পরিমানে অলিভ ওয়েল নিন। ভালো করে ধুয়ে অলিভ গুলোর মাঝের বিচি ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। যতক্ষন পর্যন্ত ভালো ভাবে পেস্ট না হয় ততক্ষন পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে থাকুন। মনে রাখবেন পেস্ট একদম মিহি হতে হবে। পেস্ট মিহি হলে একটি পাত্রে অলিভের পেস্ট নিয়ে মিডিয়াম আচে ৫-১০ মিনিট জ্বাল দিন। জ্বাল দিলে দেখবেন আস্তে আস্তে অলিভের তেল ভেসে উঠছে। তাপ দেওয়ার সময় ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে, যাতে পোড়া না লাগে। এবার অন্য একটি পাত্রের উপরে একটি পরিস্কার কাপড় নিয়ে তাতে গরম করা অলিভ পেস্ট ঢেলে দিন। এর পর কাপড়টি ভালোভাবে চিপে তেল বের করতে পারবেন। ব্যাপারটা অনেকটাই ছানা তৈরির মতন। পেস্ট ঠান্ডা হওয়ার পর তার পর কাপড়টা চিপে তেল বের করতে পারেন। তেল আলাদা করা হলে একটি বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। আপনাদের সুবিধার জন্য একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো। 

পেয়াজের তেল

পেঁয়াজের তেল পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি কম বেশী সকলের জানা।চুল পড়া মহিলাদের একটি তীব্র সমস্যা এতে কোন সন্দেহ নেই, কারণ বিভিন্ন রকমের শ্যাম্পু অথবা ভেজাল তেল দীর্ঘ দিন ব্যাবহার করার ফলে হয়তো মাথার চামড়ার উপরে পার্শপতিক্রিয়া পড়ে যার কারনে চুল ঝরে যায় ।

আবার হতে পারে আমরা যে তেল ব্যবহার করি সে তেলের মধ্যে আমি কিছু ক্যামিকেল আছে যা মাথার ত্বকের ম্যাচ করে না যার কারণে চুল পড়ে যায়। তাছাড়াও আবহাওয়ার তারতম্য এবং নিয়মিত শ্যাম্পু না করা চুলে তেল না দেওয়ার জন্য নানারকম এককথায় অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এর ফলে মাথার চুল পড়ে যায়। এবং পড়তে পড়তে ক্রমান্বয়ে এমন পর্যায়ে চলে আসে চেয়ে মাথার মাস সহ দেখা যায়।

আপনার মুখের ত্বক যতই সুন্দর হোক না কেন চেহারার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে না চুল হচ্ছে নারীর ভূষণ। তাই এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং জানতে হবে কী করে এর যত্ন করার মাধ্যমে আমরা এ চুলকে রক্ষা করতে পারবো।

পেঁয়াজের তেল চুল পড়া কমাতে খুবই কার্যকরী। এটি প্রাকৃতিক উপাদান এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ৯৫ থেকে ৯৮ভাগ পর্যন্ত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ।

তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই কি করে এই পেঁয়াজের তেল প্রস্তুত করতে হয়।

১ কাপ পিয়াজ কুচি,১ কাপ ঘাঁটি নারিকেল তেল ,১ চামুচ কালিজিরা এক সাথে মিশিয়ে চুলায় খুব অল্প তাপে ১০অথবা ১৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামিয়ে রাখুন ১ ঘন্টা পর ছাকনি দিয়ে ছেকে কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং ১ দিন পর পর চুলে লাগান।এতে ৯৮ ভাগ চুল পড়া কমবে।