কখনও আদাকে কাজে লাগিয়ে চুল ভালো করার কথা শুনেছেন? শুনতে একটু আজব লাগলেও একথা ঠিক যে চুল ভালো রাখতে আদার কোনও বিকল্প নেই। তাই মহিলাদের এই লেখাটি পড়া খুব দরকার। সৌন্দর্য বাড়াতে আমরা অনেকেই নানা ধরনের ঘরোয়া চিকিৎসার সাহায্য় নিয়ে থাকি। একথা সত্য়ি যে কিছু ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি তথাকথিত আধুনিক পদ্ধতিগুলির থেকে অনেক বেশি কার্যকর হয়। উপাদরণ হিসাবে আদার কথা ধরুন। এটি ব্য়বহার করা সহজ, আর এর গুণাগুণ তো প্রশ্নাতিত। তাই নানাবিধ চুলের অসুবিদায় যদি আপনার জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে তাহলে এক্ষুনি পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি।

১. চুল পড়া কমায়:
আদা মূল নিয়ে স্কাল্পে ঘোষুন। দেখবেন চুল পড়া কমে যাবে। পরিমাণ মতো আদা নিয়ে তা মাথায় ভালো করে ঘষে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধুয়ে ফেলার পরে অল্প করে কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এই পদ্ধতিতে কয়েক মাস চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন চুল পড়া কমতে শুরু করেছে।

২. খুশকি দূর করে:
আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা স্কাল্পে সিবামের মাত্রা কমিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়। আর একবার সংক্রমণ কমে গেলে খুশকিও সারতে শুরু করে।

৩. স্কাল্পের ক্ষত সারাতে:
নানা সময় মাথা চুলকাতে গিয়ে অনেকেই স্কাল্পে ক্ষত সৃষ্টি করে দেন। এই ধরনের কেটে যাওয়া কমাতে আদা দারুন কাজে আসে। আসলে আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা যে কোনও ধরনের ক্ষতর প্রদাহ কমাতে দারুন কাজে আসে। এখানেই শেষ নয়, স্কাল্পের একনি সারাতেও আদা বেশ কার্যকরি ভূমিকা নেয়।

৪. উজ্জ্বল চুল পেতে:
অলিভ অয়েলের সঙ্গে পরিমাণ মতো আদার রস মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর তা ভালো করে চুলে লাগান। এক ঘন্টা রেখে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি সম্ভব হয় সারা রাত এই মিশ্রনটি চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন, তাতে কাজ হয় বেশি।

৫. শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে:
চুলই খুব ড্রাই? চিন্তা নেই আজ থেকেই আদাকে কাজে লাগিয়ে দিন। দেখবেন অল্প দিনেই চুলের স্বাস্থ্য় ভালো হতে শুরু করবে। আর্গন তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো আদার রস মিশিয়ে চুলে লাগান। এক ঘন্টা রেখে শেম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, আর্গন তেল চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে, আর আদা চুলের ক্ষয় রোধ করে।