এক্সট্রা ম্যারিটাল। নামেই লুকিয়ে প্রবল বঞ্চনা। জীবনের সবটুকু দিয়েও আপনি থেকে যাবেন ‘এক্সট্রা’ হয়েই। তবু মানুষ স্রোতে ভাসে। বলা ভাল উল্টো স্রোতে। আপনি জানেন ওর ঘরে স্ত্রী রয়েছে। যার বয়স আপনার বয়সেরই কাছাকাছি। কিংবা আপনার প্রেমিকার স্বামী হয়তো আপনারই সহকর্মী। এ সম্পর্কে হাজারো ঝক্কি।

প্রচুর রিস্ক। পরিনতিও খুব একটা সুখকর হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। তবু কোনও অদৃশ্য টানে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলেছেন আপনারা। তবে এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার রাখতে গেলে অবশ্যই যেন মাথায় থাকে এই কথাগুলি :

১. আর পাঁচটা কাপলের থেকে আপনারা কিন্তু সত্যিই আলাদা। আপনাদের সঙ্গে অলরেডি আরও একটা জীবন জড়িয়ে রয়েছে। শুধু আইন মেনেই নয়, দুনিয়াকে সামনে রেখে তাঁকে স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে একদিন স্বীকার করেছিলেন। এবং এখনও সেই সম্পর্ক বর্তমান। যেকোনও ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীকেই কিন্তু প্রথমে গুরুত্ব দেবে আপনার পার্টনার। এবং সেটা আপনাকে মানিয়ে নিতেই হবে।

২. এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার মানেই অনেক বাঁচিয়ে চলতে হবে আপনাকে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কিছু গিফট করলেন। অথচ বিলটা রেখে দিলেন নিজের কাছে। শুধুমাত্র ছেলেরাই নয়, লিগাল পার্টনারের কাছে ফেঁসে যেতে পারেন মেয়েরাও। গোপন ডেরায় সঙ্গিনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন। শার্টে লেগে লিপস্টিকের দাগ। ভরপেট্টা কেস খাবেন কিন্তু। তাই মাথায় রাখুন, আপনাদের অ্যাফেয়ারে সাবধানী হওয়াটা কিন্তু বড্ড জরুরি।

৩. এই ধরনের সম্পর্কে থাকতে গেলে আপনাকে নানা জায়গা থেকে নানানরকমের কথা শুনতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের। কেউ কেউ সামনে আপনাকে স্বাধীনচেতা মেয়ে বলে উৎসাহ যোগাবে, আড়ালে দেখবেন তারাই কেমন কূটকচালি করবে। যে কোনওরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বা কথা শোনার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। তখন কেঁদে ভাসালে কিন্তু মোটে চলবে না।

৪. সম্পর্কে মনের পিছু পিছু তো শরীরও আসবে। কীভাবে সামাল দেবেন নিজেই ভেবে রাখুন। একটা কথা খালি মাথায় রাখবেন, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কিন্তু দিনের শেষে স্ত্রী বা স্বামীর কাছেই ফিরে যাবে। আপনাকে কিন্তু ফিরতে হবে খালি হাতেই। তাই শারীরিক সম্পর্কে জড়ালেও এমন কিছু করে বসবেন না যার জন্য বেকার ঝামেলায় পড়তে হয়।

৫. প্রচুর মিথ্যে বলতে হবে কিন্তু। ঘরে বাইরে ফোয়ারা ছোটাতে হবে মিথ্যের। সততাকে শিকেয় তুলে নামতে হবে এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ারের ময়দানে। আপনার ছোট্ট মেয়ে আজ জেদ ধরেছে, বাবা অফিস থেকে ফিরলে খাবে। গিন্নি ফোনে জানিয়ে রেখেছেন সে কথা। এদিকে আপনি তো সঙ্গিনীকে আগেই কথা দিয়ে রেখেছেন, ডিনার সারবেন একসঙ্গে। সেও রেডি। সন্ধে থেকে খান তিরিশেক টেক্সটও করেছে কী পড়বে, কী খাবে তা নিয়ে। সামলান এবার!

৬. তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দু’নৌকায় পা দিয়ে কিন্তু বেশিদিন চলা যায় না। হয় ডুবতে হয়। নয়তো পা তুলে নিতে হয় কোনও একটা নৌকা থেকে। আপনাকেও কিন্তু তা করতে হবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকুন প্রথম থেকেই। নিজেকে কষ্ট পেতে হতে পারে। আবার অন্য কারও কষ্টের কারণও হতে পারেন আপনি। ভাল-মন্দ যাই হোক, মুখোমুখি কিন্তু দাঁড়াতেই হবে।