পরকীয়ার সংজ্ঞায় সব সময় বিবাহিত নারী-পুরুষ ভূমিকা পালন করবে তা কিন্তু নয়। প্রেমিক-প্রেমিকাও এ ভূমিকা পালন করে থাকে প্রায়ই। একে অপরকে প্রথম দিককার মতো পছন্দ করতে না পারলেই ঘটে এই অঘটন। এছাড়াও কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণেও অনেকে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একটি বিশ্বাসের সম্পর্ককে ভেঙে দিতে পারে নিমিষেই। অনেকে আছেন যারা বুঝতেই পারেন না তার সঙ্গী পরকীয়ায় লিপ্ত। পরবর্তীতে হুট করে যখন সত্য প্রকাশ পেয়ে যায়, তখন মানসিকভাবে প্রচণ্ড বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু আপনার সঙ্গী পরকীয়ায় লিপ্ত কিনা তা বোঝার কিছু উপায় রয়েছে। সাইকোথেরাপিস্ট স্টেসি কাইজার তার সঙ্গীর পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়ার কিছু লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেন। তাই নিজের জীবনের সুখের জন্য তা জেনে নেয়া খুবই জরুরি।

১. দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত থাকা
লক্ষ্য করে দেখুন তো আপনার সঙ্গীর মোবাইল ফোন কি মাঝে মাঝে বন্ধ পাওয়া যায়? অথবা আপনি তাকে ফোন দিলে বেশীরভাগ সময় ওয়েটিং পান? যদি এই ধরণের কাজ প্রায়ই হতে থাকে তাহলে সঙ্গীর গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখুন। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। প্রথমে দেখে নিন আপনার সন্দেহ সঠিক কিনা।

২. পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
আপনার সঙ্গীর মোবাইল ফোনের বা কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড কি আপনার জানা আছে? তিনি কি আপনাকে তার সব তথ্য জানাতে আগ্রহী? কিম্বা আগে জানা থাকতো অথচ বর্তমানে জানেন না। এমন হলে অবশ্যই সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। দেখুন, তিনি আপনাকে এসব তথ্য নিজে থেকে দেন কিনা। অথবা আপনি চাইলে আপনার সঙ্গে কী ধরণের আচরণ করেন তাও বোঝার চেষ্টা করুন।

৩. নিজের ফোন লুকানো
আপনি তার সঙ্গে থাকলে নিজের মোবাইল ফোনটি তিনি কোথায় রাখেন? যদি স্ক্রিন উল্টো করে রাখে বা ফোন বন্ধ করে দেয় তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখুন তো। এটা ভেবে ‍নিবেন না আপনাদের সময়টা শান্তিতে কাটানোর জন্যই সে এই কাজটি করছে। এর অর্থ এমনও হতে পারে যে, আপনার সঙ্গী চান না আপনি তার সব কিছু দেখুন। আপনার মনে সন্দেহের সৃষ্টি করার মতো কিছু থাকলে অবশ্যই সে লুকাবে। তবে আপনাদের সময়টা শান্তিতে কাটার জন্য কাজটি করছে কিনা তাও বুঝে নিন।

৪. কম সময় দেয়া
দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানোটা একটু ভালো করে ভেবে দেখুন তো। কাজের চাপে সময় কাটানো হয়ে ওঠে না, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে? খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন আসল সত্যটা। কারণ সঙ্গী পরকীয়ায় লিপ্ত হলে আপনাকে দেয়া সময়ের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসবে। আর এটায় স্বাভাবিক।