শরীরটা এমনিতে ঠিকঠাকই আছে। মুটিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় পড়তে হয়নি এখনো। কিন্তু দিন দিন শার্টের নিচ থেকে ক্রমশ উঁকি মারছে নাদুস-নুদুস হতে থাকা মেদভুঁড়ি। কেবল চোখের দেখায় খারাপ লাগার বিষয় তো নয়, ভুঁড়িটাকে বাড়তে দিলে অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতেই বা কদিন!
খাবারদাবারে সচেতন হয়ে সহজেই এই বাড়তি যন্ত্রণাটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন আপনি। টিএনএন অবলম্বনে এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন কিছু খাবারের গুণাগুণ।

সবুজ চা
কোমরের মাপ ঠিক রাখা আর পেটের নানা প্রদাহের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য দারুণ এক পানীয় এই সবুজ চা। সবুজ চায়ে থাকা ফ্লেভোনয়েড প্রদাহ রোধে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া বহু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সবুজ চা-পান পুরো শরীরকেই মেদমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
ওমেগা-থ্রি
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এবং সঙ্গে কিছুটা ওমেগা-সিক্সসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রদাহ কমানোর জন্য খুবই কার্যকর। ওমেগা-থ্রিসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে আখরোট, তিসি ও তিসির তেল, স্যালমন মাছ ইত্যাদি।
রসুন
প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়মিত রসুন খান। রক্তে শর্করা ও ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীরে জমতে থাকা চর্বি পোড়ানোটা সহজ হয়। এ ছাড়া খাবারদাবার হজমে সহায়ক হিসেবে রসুন খুবই কার্যকর। এভাবে মেদভুঁড়ি কমাতে রসুন আপনাকে ভালোই সাহায্য করতে পারে।
পুদিনাপাতার রস
কিছু পুদিনাপাতা থেঁতলে নিয়ে এক কাপ গরম পানিতে ছেড়ে দিন, এক টেবিল-চামচ মধু এবং খানিকটা কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। পাঁচ মিনিট রেখে দিয়ে পুদিনার রসের এই দাওয়াই পান করুন। পুদিনার রস যেমন পাকস্থলীকে প্রশান্তি জোগাবে, তেমনি মধু আর মরিচ পরিপাকে সহায়তা করে মেদ কমাবে।
তরমুজ
তরমুজের ৮২ ভাগই পানি। কিন্তু রসাল এই ফল আপনার ক্ষুধা নিবারণ করে পাকস্থলীকে শান্ত রাখতে পারে। ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ তরমুজের নানা স্বাস্থ্য সুফল রয়েছে। খাবারদাবারের বিষয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠতে শুরু করলে আপনার খাদ্যতালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। এ ছাড়া এটা মধ্যাহ্নের নাশতা হিসেবেও খুবই কার্যকর।
আপেল
জনপ্রিয় ফল আপেল নানা রোগ মোকাবিলায় কার্যকর। পাশাপাশি এটা পেটে জমতে থাকা মেদ ঝরাতেও উপকারী। আপেলে থাকা পটাশিয়াম এবং নানা ভিটামিন পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। মেদভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাশতায় একটা আপেল রাখতে পারেন।
কলা
আপেলের মতোই কলাও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ এবং এতে নানা ভিটামিন আছে। ক্ষুধা লাগলে ফাস্টফুডের পেছনে না দৌড়ে একটা-দুটো কলা খেয়ে নিন। খাবারদাবার পরিপাকের জন্যও কলা খুবই উপকারী। নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটা মেদ কমাতে সহায়তা করবে।