পেটের মেদ কমাতে বেল্ট বা ভাইব্রেটর ব্যবহার আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এ ধরনের যেকোনো উপকরণ ব্যবহারের আগে এর ভালো-মন্দ দিকগুলো জেনে নেওয়া ভালো।

মেদ কমানোর বেল্ট ব্যবহারে পেটের পেশি আঁটসাঁট থাকে। পোশাকের নিচে বেল্ট বাঁধা থাকলে পেটের মেদ খুব বেশি বোঝা যায় না। তবে সত্যিকার অর্থে মেদ কমাতে বেল্ট কতটা উপকারে আসে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। পাকস্থলীর ওপর কিছুটা চাপ থাকার ফলে বেল্ট পরা অবস্থায় আপনি অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম পরিমাণ খাবার খাবেন। এর ফলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আপনি কিছুটা এগিয়ে যেতে পারেন। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ মেদ কমাতে সাহায্য করে, শরীরটা সুস্থ থাকে। আদতে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কারণে ওজন কমছে, বেল্ট নয়।

বেল্ট ব্যবহারের ফলে ঘাম হয়, তাই পেটে কিছুটা হালকা অনুভব করতে পারেন। তবে মেদ গলে যাওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞানসম্মত নয়। বিশেষ ধরনের ভাইব্রেটর বেল্ট পেটের পেশিতে কম্পন সৃষ্টি করে, এর ফলে পেটের পেশি খানিকটা শক্ত হয়, থলথলে ভাবটা থাকে না। তবে মেদ কমানোর জন্য সরাসরি যেসব ব্যায়াম রয়েছে, এ ধরনের যান্ত্রিক কম্পন সেগুলোর মতো কার্যকর নয়।

তাই বেল্ট ব্যবহার করতে চাইলে করতে পারেন বটে, তবে মেদ কমাতে সরাসরি উপকার পাবেন, এমনটা ভেবে না নেওয়াই ভালো। আসলে ক্যালরি গ্রহণ কমানো ও ক্যালরি ক্ষয় করা ছাড়া ওজন বা মেদ কমানো আসলেই দুষ্কর। সে জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি–এটাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।