মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা
উপকরণ:মিষ্টি কুমড়া টুকরা করে নেওয়া ২ কাপ। পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা-কুচি ২ টেবিল-চামচ। শুকনামরিচ টেলে নেওয়া প্রয়োজন মতো। সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালী : মিষ্টিকুমড়া টুকরা করে সিদ্ধ করতে হবে।
একটা বাটিতে পেঁয়াজকুচি, ধনেপাতা-কুচি, মরিচ ও তেল দিয়ে মাখিয়ে, তাতে সিদ্ধ মিষ্টিকুমড়া দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।লবণ ও মরিচ আপনার স্বাদ মতো দেবেন।

মুরগির মাংসের ভর্তা
উপকরণ: মুরগির মাংস সিদ্ধ ১ কাপ অথবা আগের রান্না করা মাংস। পেঁয়াজকুচি  ২ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা-কুচি ১ টেবিল-চামচ। শুকনা-মরিচভাজা পরিমাণ মতো। সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালী : রান্না করা মাংস থেকে মাংস নিয়ে হাড় আলাদা করে নিতে হবে। অথবা মুরগির মাংস অল্প লবণ ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। একটা বাটিতে পেঁয়াজকুচি, শুকনা-মরিচগুঁড়া, ধনেপাতা ও লবণ নিয়ে তাতে সরিষার তেল দিয়ে মাখতে হবে। এতে সিদ্ধ মাংসের টুকরা দিয়ে মাখিয়ে নিলেই হয়ে যাবে মুরগির মাংসের ভর্তা।

পাচন
উপকরণ: পটল, আলু, মিষ্টি কুমড়া, শসা, কাঁচা কাঁঠাল, করলা, বটের ফল, কাঁকরোল, ধুন্দুল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁকিশাক, তারা ডাঁটা, আদা গুনগুনি শাক, লাউ, বেগুন, চাল কুমড়া ও পেঁপে পরিমাণমতো। পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৩টি, কাঁচা মরিচ ৩টি, আদা বাটা ১ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ ও সরষে বাটা ১ চা-চামচ।

প্রণালি: পরিমাণমতো লবণ ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে সবজি ভাপে বসাতে হবে। এরপর অন্য একটি পাত্রে তেল, পাঁচফোড়ন, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা, জিরা বাটা ও সরষে বাটা দিয়ে সবজিগুলো কষিয়ে নিন। বেশিক্ষণ রাখার দরকার নেই। তরকারি নামানোর আগে অল্প চিনি দিয়ে নিতে পারেন।

কলার মোচার কোপ্তা
উপকরণ: কলার মোচা ১টি, বুটের ডাল ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল পরিমাণমতো, কালিজিরা সামান্য পরিমাণ, তেজপাতা ৩টি, আদা বাটা, সরিষা বাটা ১ চা-চামচ, টমেটো পিওরি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: বুটের ডাল আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। কলার মোচা খুলে ভেতর থেকে কালো রঙের শাঁস বের করে আনতে হবে। এরপর সেই শাঁস কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। তা ভাপে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর কলার মোচা আর বুটের ডাল বেটে তার সঙ্গে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে গোল গোল করে নিন।

ঝোল তৈরির প্রণালি: আরেকটি কড়াইতে একটু তেল, কালিজিরা, তেজপাতা, হলুদ গুঁড়া, আদা বাটা, সরিষা বাটা ও এক কাপ পানি দিয়ে ঝোল তৈরি করে নিন। চাইলে কেউ টমেটো পিওরি এতে ব্যবহার করতে পারেন। ঝোল রান্না হয়ে গেলে কোপ্তা ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ ছেড়ে দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর নামিয়ে ফেলুন।
 
মিষ্টি কুমড়ার বড়া
উপকরণ: ১ ফালি মিষ্টি কুমড়া, লবণ ২ চিমটি ও তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: কুমড়ার খোসা ছিলে সিকি ইঞ্চি পরিমাণ পুরু করে কেটে নিন। ধুয়ে লবণ মেশান। প্যানে তেল দিয়ে কুমড়াগুলো এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নামিয়ে নিন।

ভাজা ইলিশ
উপকরণ: ইলিশ মাছ চার পিস, হলুদ ১ চিমটি, লেবু ১টা, লবণ ১ চিমটি ও তেল ১ কাপ।

প্রণালি: মাছ ধুয়ে হলুদ, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ৫ মিনিট মেরিনেট করে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে মাছ দুই পিঠ উল্টেপাল্টে ভাজুন। সোনালি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

বেগুন ভাজি
উপকরণ: বড় বেগুন ১টা, ১ চিমটি লবণ ও তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: বেগুন গোল গোল করে কেটে নিন। এরপর ধুয়ে তাতে লবণ মেশান। কড়াইতে তেল গরম হলে তাতে বেগুন দিয়ে ঢেকে দিন। খানিক পরে উল্টে দিন। দুই পাশ সেদ্ধ ও নরম হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

জাম আলু ভর্তা
উপকরণ: জাম আলু ২টা, শুকনা মরিচ ২টা, পেঁয়াজ কুচি ১টা, লবণ স্বাদমতো ও সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে নিন। শুকনো মরিচ ভেজে রাখুন। এবার আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। পেঁয়াজ, লবণ ও মরিচ হাতে বা মাখনা দিয়ে গুঁড়া করে নিন। তেল দিয়ে আবার মাখান। এবার আলু দিয়ে চটকে নিন। চাইলে কাঁচা মরিচ দিয়েও ভর্তা করতে পারেন।

শজনে-ডাল
উপকরণ: মসুর বা মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, শজনে ডাঁটা ৭-৮টা, তেজপাতা ২টা, কাঁচা ও শুকনো মরিচ ৪-৫টা করে, হলুদ ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, লবণ ও তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: প্রথমে ডাল সেদ্ধ করে নিন। এরপর শজনে ডাঁটাগুলো দিয়ে দিন। আলাদা পাত্রে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন বাগাড় দিয়ে শুকনা মরিচ, তেজপাতা ও পেঁয়াজ হালকা ভেজে নিন। এবার শজনেসহ সেদ্ধ ডাল সেই পাত্রে ঢেলে দিন। বলক উঠলে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

লাবড়া
উপকরণ: পাঁচমিশালি সবজি ২ কাপ, পাঁচফোড়ন দেড় চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, ধনেবাটা আধা চা-চামচ, হলুদ আধা চা-চামচ, তেজপাতা ২টা, কাঁচা মরিচ ৪-৫টা, শুকনো মরিচ ৫-৬টা, লবণ ও তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিন। এবার সবজি ঢেলে নাড়ুন। এবার সব গুঁড়া মসলা অল্প একটু পানিতে মিশিয়ে সবজিতে ঢেলে দিন। নেড়ে ঢেকে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন সবজি থেকে পানি ঝরছে কি না। আবার নেড়ে ঢেকে দিন। তেজপাতা ও দুই ধরনের মরিচ দিন। সবজি দমে রাখুন। নরম হলে নামিয়ে নিন। চাইলে একটু চিনি দিতে পারেন।