কখনো কখনো এমন হয় যে, ভুল কাজটাই সবসময় করে আসার ফলে আমরা জানতে পারিনা সঠিকভাবে কাজটা কীভাবে করা হয়ে থাকে। এমন ভাবেই রান্নাঘরের কিছু টুকিটাকি কাজ এবং টিপস জানলে সহজ হয়ে যাবে অনেক বড় বড় কাজ। আর বেঁচে যাবে আপনার অনেকটা সময়। এমনকি কোন খাবার নষ্ট হওয়া থেকেও আপনি রক্ষা করতে পারবেন ছোট্ট কিছু টিপস জানলে। আজকে এমনই ছোট্ট পাঁচটি কিন্তু খুবই উপকারি টিপস জেনে নিন -

রেফ্রিজারেটরের দরজার খাপে রাখবেন না দুধের বোতল : প্রায় সকলের বাসাতেই দেখা যায় দুধের বোতল রাখা হয়ে থাকে রেফ্রিজারেটর এর দরজার খাপে। কিন্তু দুধের বোতল রাখা উচিত রেফ্রিজারেটর এর ভেতরে। কারণ দরজা খুললেই রেফ্রিজারেটর এর তাপমাত্রার বিশাল একটা তারতম্য দেখা দেয় যা কিনা বোতলে রাখা দুধের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে দুধ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

বেকিং এর সময়ে ওভেন এর দরজা খুলবেন না : কেক অথবা যেকোন কিছু বেক করার সময়ে যে ভুলটা আমরা সবসময় করি সেটা হলো, ওভেন এর দরজা খুলে বারবার খাবার পরীক্ষা করা। এর ফলে খাবার তার পরিপূর্ন আকার পায় না।

পাউরুটি রাখুন রেফ্রিজারেটরে : সকাল কিংবা বিকালের নাস্তায় পাউরুটি সবার বাসাতেই থাকা চায়। তবে প্রতি বেলায় পাউরুটি খাওয়ার পর রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে ভুলবেন না। এতে করে পাউরুটি থাকবে একদম ফ্রেশ

মাইক্রোওয়েভ ওভেনেই বানিয়ে নিন ডিমপোচ: হাতে বেশী সময় নেই কিন্তু কিছু খেয়ে অফিসে যেতে হবে অথবা বাচ্চাকে নাস্তা খাওয়াতে হবে আর এদিকে বাচ্চার স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে। তখন চটজলদি ডিম ভেঙে একটা পাত্রে নিয়ে উপরে এক চিমটি লবণ ছড়িয়ে দিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দিয়ে দিন মিনিট তিন-পাঁচেক এর জন্য। তৈরি হয়ে যাবে আপনার মজাদার ডিমপোচ।

ভিন্ন রকমের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করুন : রান্নাঘরের বিভিন্ন ধরণের খাবার কাটাকুটি করার জন্যে অন্তত পক্ষে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন কাটিং বোর্ড ব্যবহার করুন। একটি মাছ, মাংস এবং এমন ধরণের যাবতীয় খাবার কাটার জন্য। অন্যটি ফলমূল অথবা সবজী কাটার জন্য। কাঁচা মাছমাংশ থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে বলে কাটিং বোর্ড আলাদা করা উচিত।