ছারপোকা যে কী ভয়ঙ্কর তা কেবল ভুক্তভোগীরাই ভালো বলতে পারবেন। ছারপোকা অনেকের কাছে বিছানার পোকা হিসেবে পরিচিত। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিছানা, মশারি, বালিশে ছারপোকার উপদ্রব দেখা দেয়। এর কামড়ে খুব একটা ব্যথা পাওয়া না গেলেও, রক্তচোষা প্রাণী বলে সকলের কাছেই চরম বিরক্তিকর ছারপোকা।

বিছানা ছাড়াও ছারপোকার অন্যতম পছন্দের আবাসস্থল হচ্ছে ম্যাট্রেস, সোফা এবং অন্যান্য আসবাবপত্র। মূলত অপরিষ্কার বিছানা ও আসবাবপত্রের কারণেই চারপোকার উপদ্রব ঘটে। অগোছালো অতিরিক্ত আসবাবপত্রের ঘরে ছারপোকার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয়।

তো চলুন এক নজরে দেখে নেই এই জ্বালাতনকারী ছারপোকাটিকে কিভাবে সহজেই ঘর থেকে তাড়ানো যায় –

১) ছারপোকা মোটামুটি ১১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে মারা যায়। ঘরে ছারপোকার আধিক্য বেশি হলে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা ও ঘরের ছারপোকা আক্রান্ত জায়গাগুলোর কাপড় বেশি তাপে সেদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। ছারপোকা এতে মারা যাবে।

২) বিছানাসহ অন্যান্য জায়গা থেকে ছারপোকা তাড়াতে সারা ঘরে ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন। ভ্যাকুয়াম করার সময় খেয়াল রাখুন যাতে ঘরের মেঝেও বাদ না পড়ে। এতে করে আপনার ঘরে ছারপোকার আক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।

৩) যে জায়গায় ছারপোকা আছে, সেখানে সামান্য ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে দিন। প্রত্যেকদিন এটি স্প্রে করতে পারলে আরো ভালো। দেখবেন, কয়েকদিনের মধ্যে সব ছারপোকা দূর হয়ে গেছে।

৪) পানিতে ঘন করে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি স্প্রে করলে সব ছারপোকা মরে যাবে।

৫) ছারপোকা তাড়ানোর জন্য অ্যালকোহল খুব ভালো কাজ দেয়। ছারপোকা আক্রান্ত জায়গায় সামান্য অ্যালকোহল স্প্রে করে দিন। আস্তে আস্তে আপনার বাড়ি ছেড়ে পালাবে ছারপোকার দল।

৬) ছারপোকা ময়লা অপরিষ্কার জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। তাই ঘরের মধ্যে বা খাটের নিচে মালামাল স্তুপ করে রাখবেন না।

৭) ছারপোকা বেশি উত্তাপ সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরের বিছানা, তোষক, লেপ, বালিশ কয়েকদিন পরপর রোদে দিন। বিছানার চাদর অন্তত সপ্তাহে একবার পরিবর্তন করুন। খাটকে দেয়ালের সঙ্গে একবারে না লাগিয়ে একটু ফাঁকা করে রাখুন।

৮) এই পদ্ধতিটি খুব বেশি প্রচলিত না হলেও এতে উপকার পাওয়া যায় অনেক। স্টিমিং মেশিন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই মেশিন ব্যবহার করে তোষক, বালিশ, কম্বল, লেপ ও সোফায় স্টিম দিয়ে দিন। এতে করে ছারপোকা ও ছারপোকার ডিম ধ্বংস হবে।