জরায়ু মুখের ক্যানসার নারীদের ক্ষেত্রে খুবই প্রচলিত। দেশে দেখা যায় মেয়েদের খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেমন: ১২-১৫ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয় অনেক বাবা মা। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে হিসাব করে দেখা যায় ১০-১২ বছরে অনেক মেয়ের বিয়ে হয়। এটা এক নম্বর কারণ। এত কম বয়সে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাবা মা বুঝেও তারা বুঝে না।

তারপর আবার খুব দ্রুত তাদের বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে। এবং সেই সন্তান একটা থেকে আরেকটা হওয়ার ক্ষেত্রে বিরতি নেই। একেকজনের ক্ষেত্রে হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে যে পাঁচটি-সাতটি করে বাচ্চা হচ্ছে। দুই বাচ্চার মাঝে বিরতি কম। তার শরীরের যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, সেটাই তৈরি হতে পারছে না।

অপরদিকে আমাদের দেশে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে যে খাওয়াদাওয়া করতে হবে, সেটা নেই। আমাদের দেশের মেয়েরা প্রচুর পুষ্টিহীনতায় ভোগে। শারীরিক পুষ্টির দিকে অধিকাংশের কোনো খেয়াল নেই।

এ ছাড়া এক্সট্রা মেরিটাল রিলেশনশিপ যাদের থাকে, একাধিক সঙ্গী যাদের থাকে তাদের এই সমস্যাটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। চার নম্বর হলো, আমাদের দেশের মানুষদের সচেতনতার খুবই অভাব।

জরায়ু মুখের ক্যান্সার একেবারেই প্রতিরোধযোগ্য। ফলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সচেতনতার মধ্যে পড়ে পরিচ্ছন্নতা আর পুষ্টি। এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।