বাংলা টেলিভিশন আলো করে রয়েছে যে ষোড়শী, সেই ‘রাণী রাসমণি’ অর্থাৎ দিতিপ্রিয়া রায়ের কিন্তু সামনেই জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা।

‘রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকটি যেমন বাংলা টেলিভিশনে একটি নতুন ট্রেন্ডসেট করেছে, তেমনই দিতিপ্রিয়া রায়ের মতো দক্ষ ও প্রতিভাসম্পন্ন অভিনেত্রী না থাকলে কী হতো, সেটাও কিন্তু ভাবনার বিষয়। অনবদ্য কাস্টিং তো বটেই কিন্তু পাশাপাশি চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার প্রচণ্ড অধ্যবসায় রয়েছে এই কিশোরী অভিনেত্রীর মধ্যে।

অভিনয়ের দক্ষতা ছাড়াও নিজের পড়াশোনা নিয়েও অত্যন্ত সিরিয়াস দিতিপ্রিয়া। যত কঠিন শ্যুটিং শিডিউলই থাক না কেন, পড়াশোনায় যে একেবারেই ফাঁকি নেই, সেটা জানা গেল সম্প্রতি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় বসবে সে অর্থাৎ এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আমাদের রাণী।

কিছুদিন আগে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে দেখা হল তার সঙ্গে। ক্ষণিকের আড্ডায় জানা গেল যে সিলেকশন টেস্টের রেজাল্ট খুব ভাল হয়েছে তার এবং ফার্স্ট লিস্টে নাম রয়েছে। কিশোরী রাণী রাসমণির মতোই কিশোরী দিতিপ্রিয়াও যেন সব সময় সুপার কনফিডেন্ট। মাধ্যমিক দেবে বলে ভয়ের কোনও লেশমাত্র নেই। বরং মনে হল বেশ একটা এক্সাইটমেন্ট রয়েছে। আসলে পেশাগত ক্ষেত্রে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এসেছে এই মেয়ে তাই বোর্ড এক্সামকে খুব একটা ভয় পায় না সে।

সম্ভবত আগামী বছরের গোড়াতে বেশ অনেকটা সময় তাকে অভিনয় থেকে ছুটি নিতে হবে। আবার টেলিপাড়ার একটি সূত্রের খবর, অচিরেই টাইম লিপ ঘটতে পারে এবং সামনে আসতে পারেন পরিণতবয়স্ক রাণী রাসমণি। এই চরিত্রটির জন্য অভিনেত্রী নির্বাচনের তোড়জোড় কিন্তু কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বাংলা টেলিভিশনের বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয় নায়িকাকে এই রোলটি অফারও করা হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত বাছাইয়ে কে রয়েছেন সেটা এখনও জানা যায়নি। যদি টাইম লিপ ঘটে তবে দিতিপ্রিয়া হয়তো পুরোপুরি ছুটি পাবেন ধারাবাহিকটি থেকে।

কিন্তু যদি টাইম লিপ না ঘটে, তবে হয়তো বেশ অনেকদিন, যতদিন মাধ্যমিক পরীক্ষাটি চলবে, ততদিন কিশোরী রাণীর ট্র্যাকটি কোনওভাবে অফ রাখতে হবে। ঠিক কোনটা হতে চলেছে, সেটা হয়তো আর একমাসের মধ্যেই বোঝা যাবে।

খবর - এবেলা