বিয়ে উপলক্ষে নিজেরও তো একটা প্রস্তুতি থাকা চাই। নতুন জামা, জুতা, চুলের নতুন কাট এবং সেইসঙ্গে মেকআপের ব্যাপারটা তো থাকছেই। এ সময় ফেসিয়াল করাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই পার্লারে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল বিশেষ করে ফ্রুট ফেসিয়াল, গোল্ড ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল প্রভৃতির যে কোন একটি করে নেন। ফেসিয়াল করলে ত্বকের ময়লাই শুধু কাটে না, একইসঙ্গে ত্বক হয়ে উঠে অনেক কোমল এবং উজ্জ্বল। শুধু তাই নয়, ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, ফুসকুড়িসহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে এই ফেসিয়াল।

ব্রণ:
ফেসিয়ালে করার পর অনেকের ব্রণসহ ত্বকের নানা সমস্যা কেটে যায়। এ সময় ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে যায় এবং দূষিত পদার্থগুলো বাইরে বের হয়ে যায়। কিন্তু সঠিকভাবে ফেসিয়াল না করলে বরং এ সমস্যা বেড়ে যায়।

ত্বক চুলকায় :
পার্লারে ফেসিয়াল করার সময় যেসব ক্রিম কিংবা পণ্য ব্যবহার করা হয় তাতে অনেক ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে। যেগুলো পরবর্তীতে ত্বকের নানা সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। কেমিক্যালগুলো ত্বকের কোষের ক্ষতি করে। ফলে ত্বক জ্বালাপোড়া করে এবং চুলকায়।

ত্বকে অ্যালার্জি বাড়ে:
বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়ালে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য ব্যবহার করা হয়। অনেকেই আছেন যাদের এসব পণ্য ব্যবহারে অ্যালার্জি আরও বেড়ে যায়। এতে ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়িসহ আরও নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক বিবর্ণ হয়ে পড়ে :
নিয়মিত ফেসিয়াল করালে ত্বকের আর্দ্রতার উপস্থিতি কমে যায়। এতে বাইরের ত্বক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ত্বক অমসৃণ এবং বিবর্ণ হয়ে পড়ে।

লালচে ভাব ত্বকে চলে আসে :
ফেসিয়ালের সময় এমন কিছু শক্তিশালী কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা আপনার ত্বকের সঙ্গে খাপ নাও খেতে পারে। এতে ত্বকে একটা লালভাব চলে আসে।

ত্বক শুষ্কতা ভাব চলে আসে:
নিয়মিত ফেসিয়াল করলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা এবং ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে।

ত্বকে বিভিন্ন ধরনের দাগ দেখা দিবে :
মুখের কালো দাগ উঠাতে অনেক সময় বিউটিশিয়ানরা তাদের নখ কিংবা নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এর বিপরীতে গেলেই কেটে যেতে পারে কিংবা আরও বড় কোন দাগ হতে পারে।