কিছুদিন আগেও গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। কিছু কিছু জায়গার তা ৫৫০ টাকাও রাখা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে দাম ৪০০ টাকা। ভারতের গরুর মাংস তা আরো কমে কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকা। যশোরের স্থানীয় মাংসের বাজারগুলোতে এখন এ চিত্র।গত শুক্রবার মনিরামপুরের রাজগঞ্জে স্থানীয় বাজার থেকে ৪০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, যে গরুর দাম কয়েক মাস আগেও ৭০ হাজার টাকা ছিল, সেটির এখনকার বাজারমূল্য ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা। আর সে কারণেই গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে। তিনি বলেন, এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। তাছাড়া এই সময়ে এসে গরুর খাদ্যের দামও বেড়ে যায়। ফলে বেশি টাকা দিয়ে খাবার কিনে গরু পোষায় এখন লোকসান গুণতে হচ্ছে।

গরু ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, গরুর মাংসের দাম অনেক কমে গেছে। এখন আর কারো দাবি দাওয়া লাগছে না। কয়েক মাস আগে যে দাম ছিল ৫০০ টাকা, এখন তা ১০০ থেকে দেড়শ টাকা কমেছে। বাজারে এখন দাম ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। কিন্তু হঠাৎ দাম এত পড়ে যাওয়ার কারণ কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন যশোরে ভারতীয় গরুর চাপ অনেক বেশি। লাইনের গরুই (ভারতের) বেশি আসছে। সে কারণে দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন মাংস বিক্রেতারা। এ কারণে অবশ্য দেশীয় গরুর দামও কমে গেছে। আগে যে গরুর দাম ৪০ হাজার টাকা ছিল, এখন তা ৩০ হাজার টাকায় কেনাও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরুর খামারি মনিরুল ইসলাম বলেন, গরু কিনেছিলাম লাভের আশায়। কিন্তু এখন লোকসান গুণতে হচ্ছে। খাদ্যের দাম বেশি থাকার কারণে খামারে রাখতে পারছি না। লোকসান হলেও কম দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

তবে স্থানীয় পর্যায়ে দাম কম থাকলেও রাজধানীর বাজারে এখনো মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। কিছু জায়গায় কেজিপ্রতি ৪৭০ টাকা বিক্রি হলেও বেশিরভাগ বাজারে তা ৫০০ টাকা। অবশ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, হিমায়িত মাংস আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশীয় মাংসের দাম কম রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। দেশে গরু উৎপাদনে খরচ কমাতে পারলে দেশীয় বাজারে মাংসের দাম এমন থাকবে না। দেশে মাংসের চাহিদার চেয়েও বর্তমানে উৎপাদন বেশি হচ্ছে। তাছাড়া এক হাজার কেজি মাংস দিতে পারে এমন আমেরিকান সংকর ব্রাহমা জাতের গরু পালন হওয়ায় আগামীতে মাংসের দাম ধীরে ধীরে কমবে বলেও জানান তিনি।

খবর - আরটিভি অনলাইন