উপকরনঃ
পুরের জন্য - ১/৪ কাপ মসুর ডাল - ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো - আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো - ১/৪ চা চামচ মরিচগুঁড়ো - ২ টি পেঁয়াজকুচি - ২ টি কাঁচা মরিচ - তেল পরিমাণ মতো - লবণ স্বাদমতো ডো তৈরির জন্য - ১ কাপ ময়দা/আটা - ২ টেবিল চামচ তেল - স্বাদমতো লবণ - কুসুম গরম পানি পরিমাণ মতো - ভাজার জন্য তেল

পদ্ধতিঃ
- একটি প্যানে তেল গরম করে এতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে নরম করে ভেজে নিন। এরপর এতে পুরের বাকি সব উপকরন দিয়ে খানিকক্ষণ মসলা ও ডাল কষিয়ে ১ কাপ বা তার বেশি পরিমাণ পানি দিয়ে ডাল রান্না করুন।

- ডাল সেদ্ধ হয়ে নরম হয়ে গেলে পানি শুকানো পর্যন্ত রান্না করে নিন। ডাল একেবারে শুকনো হবে। কোনো পানি থাকবে না। এরপর ডাল ঠাণ্ডা হলে হাতে মেখে পুর তৈরি করে নিন।

- এরপর একটি পাত্রে ময়দা ও লবণ নিয়ে মিশিয়ে এতে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়দা ভালো করে হাতে মিশিয়ে নিন। তেল ময়দার সাথে মিশে গেলে ময়দা খাস্তা হবে।

- তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে রুটি বেলার মতো ডো তৈরি করে নিন। ডো থেকে ছোটো ছোটো বল তৈরি করে নিন। এরপর একটি করে বল হাতে নিয়ে তালুতে রেখে এমনভাবে চ্যাপ্টা করে ছড়িয়ে নিন যাতে মাঝখানটুকু একটি মোটা থাকে।

- এরপর মোটা অংশে পুর দিয়ে পাশের অংশগুলো দিয়ে পুর ভালো করে ঢেকে গোল বলের আকার দিন। লক্ষ্য রাখবেন বলের ভেতরে যেনো কোনো বাতাস না থাকে। এভাবে সবগুলো বল তৈরি করে নিন।

- এরপর রুটি বেলার পিঁড়িতে ছোটো ছোটো গোল করে সাবধানে বেলে পুরির আকার দিন। খেয়াল রাখবেন ভেতরের ডাল যেনো বেড়িয়ে না পড়ে।

- একটি প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে একটি একটি করে পুরি দুপাশ লালচে সোনালী করে ভেজে একটি কিচেন টিস্যুতে তুলে রাখুন। এতে বাড়তি তেল ঝরে যাবে।

- এভাবে সব ভাজা হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে সস, তরকারীর ঝোলের সাথে পরিবেশন করুন এবং মজা নিন ঘরে বানানো সুস্বাদু ‘ডালপুরি’র।

* চাইলে আগের রান্না করা বাসি ডাল পানি শুকিয়ে নিয়েও পুর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।