শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক যা শিশুর ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যে সকল শিশুরা মায়ের দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, তারা শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষমতা কম থাকে। অনেক সময় শিশুরা মায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণের দুধ পায় না। যার কারণে অনেক মাই শিশুকে স্তন্যদান দিতে পারেন না। প্রাকৃতিক কিছু উপায়ে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা সম্ভব। উপায়গুলো নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। গরম দুধ এবং জিরা পান করুন
এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চা চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। এটি বুকের দুধ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে থাকে।

২। প্রচুর পরিমাণে পানি পান
বুকের দুধ বৃদ্ধি করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। আর এইজন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এটি প্রাকৃতিকভাবে বুকের দুধ বৃদ্ধি করবে।

৩। মেথি
মেথি মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকর। সারারাত মেথি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে তা পান করুন। এর ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে।

৪। রসুন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ কোয়া রসুন খেতে পারেন। এটিও আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। কাঁচা রসুন খেতে না পারলে রান্নায় রসুন ব্যবহার করুন। এছাড়া এক কাপ পানিতে ৩ কোয়া রসুন দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন। পানি কমে অর্ধেক হয়ে আসলে এতে এক কাপ দুধ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে চুলা নিভিয়ে দিন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য মধু মিশাতে পারেন। এটি প্রতিদিন সকালে পান করুন।

৫। গরম দুধ এবং দারুচিনি
এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি প্রতিদিন পান করুন। এটি আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

৬। লাউ
লাউতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল যা দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি পেট ঠান্ডা করে অ্যাসিডিটি কমিয়ে দেয়। খাবারে নিয়মিত লাউ রাখুন।

৭। দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট করুন
দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট করবেন না। যখন দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে তখনই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন দুধ খাওয়ানোর জন্য উভয় স্তন ব্যবহার করতে। এতে দুই স্তনে দুধ বৃদ্ধি পাবে।

৮। তুলসি
তুলসিতে রয়েছে ভিটামিন কে যা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে তার মান উন্নত করে। এটি মায়ের খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে থাকে। চা বা স্যুপের সাথে তুলসি পাতা খেতে পারেন।