দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এ জুটির ডিভোর্স লেটার পাঠানোর খবরটি প্রচার করছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নায়ক শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব-অপু জুটি। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর গণমাধ্যমকে আড়াল করে গোপনে সংসার চালিয়ে যেতে সক্ষম হন তারা। এমনকি ২০১৬’র সেপ্টেম্বরে সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্ম হলেও সেই খবরো ৬ মাস পর্যন্ত চেপে রেখেছিলেন শাকিব খান।

সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ঢালিউডের শীর্ষ নায়িকা থাকা অবস্থায় নিজেকে পর্দার আড়ালে সরিয়ে নেন অপু। দীর্ঘ এক বছর তিনি মিডিয়ার সামনে আসেননি। এরপর ২০১৭’র ১০ এপ্রিল হঠাৎ করেই শিশু সন্তান আব্রামকে কোলে নিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইভে এসে অপু প্রকাশ করেন শাকিব খানের সঙ্গে তার সংসার ও সন্তান হওয়ার খবর।

অবন্তী বিশ্বাস অপু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে অপু ইসলাম খান নাম নিয়ে শাকিবকে বিয়ে করার কথাও জানান তিনি। বিয়ের কথা প্রকাশ করার পর থেকেই এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক ওঠে দেশজুড়ে। দেশের শীর্ষ একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেছিলেন, তিনি চান না মা হওয়ার পর অপু আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করুন।

কিছুদিন আগেই সন্তানের এক বছরের জন্মদিনের বড় আয়োজন করেন অপু বিশ্বাস। সেখানে তার স্বামী শাকিব খানকে দেখা যায়নি। যদিও সেসময় তিনি দেশেই অবস্থান করছিলেন। এর কিছুদিন পরই গুজব ওঠে অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স দিচ্ছেন শাকিব খান। অবশেষে সেই গুঞ্জনই হলো সত্যি।

সূত্র - অর্থসূচক