24 Live Bangla News

তাবিথ আউয়াল নয়, হচ্ছেন রিপন!

কে হচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী, এ নিয়ে আলোচনা এখন সর্বত্র। যদিও বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালের নাম শোনা গেলেও গত বেশ কয়েকদিনে দলটির বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে সে নাম অনেকটা থমকে গেছে। 

দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়াল নয়, হচ্ছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন। যদিও এ বিষয়ে তিনি এর চাইতে বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি এই প্রতিবেদকের কাছে।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে অনেক নেতা তাবিথ আউয়ালের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা অনেকেই সম্প্রতি প্যারাডাইস পেপারস ইস্যুতে তাবিথ আউয়ালের নাম আসাকে দুঃখজনক বলে মত দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা খালেদা জিয়াকে দলের পক্ষে নতুন কাউকে মনোনয়নের পক্ষে মত দিয়েছেন। তারই আলোকে আজ খালেদা জিয়া দলটির স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক বসছেন।

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির সঙ্গে খালেদা জিয়ার আজকের (শনিবার) বৈঠকের পর চূড়ান্ত হবে কে হচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী। বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন।

বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দীন, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, রুমিন ফারহানা কিংবা বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থর নাম শোনা গেলেও এগুলো রাজনীতিতে তাদের ব্যক্তিগত পরিচিতি বাড়ানোর কৌশল বলে মনে করছেন বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের অনেক নেতারা।

নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালের পরিবর্তে আসাদুজ্জামান রিপনের নাম আসার কারণ হিসেবে দলটির একজন শীর্ষ নেতা অর্থসূচককে বলেন, সম্প্রতি প্যারাডাইস পেপারস ইস্যুতে তাবিথ আউয়ালের নাম আসায় দল হিসেবে বিএনপি কিছুটা হতাশ। এর ফলে তার বিকল্প হিসেবে ড. আসাদুজ্জামান রিপনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান রিপন অর্থসূচককে বলেন, আমি সব সময় দলের জন্য কাজ করি। দল যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করে তাহলে আমি প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আমি আমার ইচ্ছার কথা দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে অভিহিত করেছি। এখন দল যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মেনে নেব।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অবঃ) মাহবুবুর রহমান অর্থসূচককে বলেন, অনেকের নাম আলোচনায় আছে। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আশা করি আজকের বৈঠকের পর আপনারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থীর নাম জানতে পারবেন।

Read More Bangla News