ছুলি একটি পরিচিত সমস্যা। মোট জনসংখ্যার মোটামুটি ১০% মানুষের এই রোগ রয়েছে। এই রোগ তা সাধারণত বুকে, পিঠে, গলায় এবং হাতে বেশি দেখা যায়। এগুলো সাধারণত অ্যালার্জিক কারণে হয়ে থাকে, তবে অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক কারণ ব্যতিরেকে অন্য কারণেও রক্তস্ফোট হয়ে থাকে।

অধিকাংশ দীর্ঘস্থায়ী রক্তস্ফোট অজানা ইডিওপ্যাথিক কারণে হয়ে থাকে । প্রায় ৫০% রোগীর ক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘস্থায়ী ছুলি হয়, এর কারণ একটি স্বয়ংক্রিয় ইমিউন প্রতিক্রিয়া।

কারণ-
স্যাঁতসেঁতে ও গরম আবহাওয়ায় এ ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে, স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনেও ছুলি হতে পারে। অনেকে যেখানে একত্রে থাকে, জিনিসপত্র ব্যবহার করে, সেখানে এই ছত্রাকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। যেমন: মেস, ব্যারাকে, ডরমিটরি, হোস্টেল ইত্যাদিতে। এক পরিবারের একজনের ছুলি হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ-
ছুলি দেখতে ছোপ-ছোপ আকারের গোলাকার কিংবা একসাথে এরা মিশে থাকতে পারে। এদের রং হালকা, গোলাপী কিংবা ব্রাউন কালার এর হতে পারে, যাদের ত্বক গাঢ় বর্ণের তাদের ক্ষেত্রে হালকা রং ,যাদের ত্বক সাদা অর্থাত ফর্সা মানুষ তাদের ক্ষেত্রে গোলাপী কিংবা ব্রাউন কালার হয়ে থাকে। আর এইটা হলে সেই জায়গাটাতে চুলকানি হতে পারে। আর এটিদেখতে অনেক ক্ষেত্রে শ্বেতি রোগীদের মত । মেলাসেজিয়া নামের এক প্রকারের ছত্রাকের কারণে এই রোগ টা হয় , তবে মেলাসেজিয়া আবার অনেক প্রকারের রয়েছে।

বাঁচার উপায়-
১। স্যাঁতসেঁতে আর্দ্র আবহাওয়ায় যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন থাকুন।

২। শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থান বারবার ধুয়ে পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। গরমের দিন রোজ একবার বা দুবার গোসল করুন। ঘামে ভেজা পোশাক পাল্টে ফেলুন ও না ধুয়ে আর ব্যবহার করবেন না।

৩। অন্যের ব্যবহৃত তোয়ালে, রুমাল ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।

৪। একাধিক ব্যক্তি কখনো একই ক্ষুরে মাথা বা দাঁড়ি কামাবেন না।

৫। সাধারণত সেলেনিয়াম সালফাইড বা ২ শতাংশ কিটোকোনাজল শ্যাম্পু এবং এর সঙ্গে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দিলে ছুলি বা সৌদ ভালো হয়ে যায়। এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এ রোগ থেকে মুক্তির অন্যতম মহৌষধ।