চুল রিবন্ডিং করার আগের ও পরের সময়টাতে কিভাবে চুলের যত্ন নেয়া উচিত? কোন ধরনের চুলে রিবন্ডিং করলে চুলের ক্ষতির আশংকা খানিক হলেও কম থাকে? রুক্ষ ও নিস্তেজ চুলের জন্য গ্লেজি বা থাই রিবন্ডিং। এতে চুল স্ট্রেট, সিল্কি ও শাইনি হয়। গ্লেজি স্থায়ী রিবন্ডিং। কালার চুলেও এ রিবন্ডিং করা যায়। তবে এ জন্য বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। গ্লেজি রিবন্ডিং করতে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। চুলের দৈর্ঘ্য ও ধরনের ওপর রিবন্ডিংয়ের খরচ নির্ভর করে। সাধারণ গ্লেজি রিবন্ডিং ৬ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। মিল্ক রিবন্ডিং রিবন্ডিং মেডিসিনের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে দুধ ব্যবহার করে মিল্ক রিবন্ডিং করা হয়। সব ধরনের চুলেই মানানসই। এটাও স্থায়ী রিবন্ডিং। অন্যান্য রিবন্ডিংয়ের তুলনায় খরচ বেশি। তবে সময় কম লাগে।

মিল্প রিবন্ডিংয়ের খরচ ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু। ভলিউম রিবন্ডিং পাতলা চুলে ভলিউম আনতে এ ধরনের রিবন্ডিং করা হয়। যা চুলকে ন্যাচারাল স্ট্রেট লুক দেয়। ভলিউম রিবন্ডিংয়ে সময় ও খরচ তুলনামূলক কম। এটাও স্থায়ী রিবন্ডিং। ভলিউম রিবন্ডিংয়ের খরচ ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু। টাচ-আপ রিবন্ডিং স্থায়ী পদ্ধতিতে চুল স্থায়ীভাবে রিবন্ডিং হয়। অর্থাৎ রিবন্ডিং চুল সব সময় একই রকম থাকবে। তবে নতুন করে যে চুল গজাবে সে অংশ আবার কয়েক মাস পর রিবন্ডিং করে নিতে হবে। একে বলে টাচ আপ রিবন্ডিং।

এর মেয়াদ এক বছর। খরচও কম। সাধারণ চুলের ধরন ভেদে ১ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হয়। ক্যারোটিন রিবন্ডিং ক্যারোটিন রিবন্ডিং এর স্থায়িত্ব ছয় মাস। ছয় মাস পর চুল আগের মতো হয়ে যায়। তখন আবার রিবন্ডিং করতে হয়। এর খরচ শুরু হয় ৫ হাজার টাকা থেকে। চায়না রিবন্ডিং চায়নায় তৈরি মেডিসিন দিয়ে এ ধরনের রিবন্ডিং করা হয়। এ ধরনের রিবন্ডিংয়ে সাময়িক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। তবে মেয়াদ শেষে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। খরচ কম। এর খরচ শুরু হয় ৩ হাজার টাকা থেকে। রিবন্ডিংয়ের আগে-পরের যত্ন চুল কালার করার পর পরই রিবন্ডিং করা উচিত নয়। চুল কালার করার ছয় মাস পর রিবন্ডিং করা ভালো। পাকা চুলে মেহেদি বা গ্রে কভারেজ করা থাকলে তিন মাস পর রিবন্ডিং করা উচিত। চুল রিবন্ডিং করার তিন দিন পর অবশ্যই একটা হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।