হেয়ার রিবন্ডিংয়ের খরচ সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে শুরু করে ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু হেয়ার রিবন্ডিং করার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেক বেশি চুল পড়ার অভিযোগ আসে। এ ক্ষেত্রে শুধু চুলই পড়ে না, মাথার ত্বকে লেগে গেলে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। আসুন হেয়ার রিবন্ডিংয়ের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রিবন্ডিংয়ে ব্যবহৃত কেমিক্যাল চুলের গোড়া নরম করে দেয়। ফলে হেয়ার রিবন্ডিংয়ের সময় কমবেশি কিছু চুল পড়বেই।
হেয়ার রিবন্ডিংয়ের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো এটি মানবদেহে বিশেষ করে মাথার ত্বকে ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। কারণ হেয়ার রিবন্ডিং করার কিটে এমন একটি উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেটি চুলকে দীর্ঘদিন সোজা রাখতে সহায়তা করে। আর এই কিট যদি বেশি মাত্রায় চুলে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটি বেশ ক্ষতিকারক হয়ে যায় এবং ত্বকে ক্যান্সার ডেভেলপ করতে সহায়তা করে।
মাথার স্কাল্ফে শুষ্ক চুলকানি এবং খুশকি হতে পারে।
দুর্বল চুলের ক্ষেত্রে অনেক সময় অতিরিক্ত হিট এবং কেমিক্যাল বেশি হলে প্রচুর চুল পড়তে পারে। এমনকি টাকও হয়ে যেতে পারে।
চুলের আগাফাটা সমস্যা জটিল আকার ধারণ করার পাশাপাশি চুল রুক্ষ ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাথাব্যথা, স্কিন জ্বলা, মাথার স্কিন ও চুল চুলকানো এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা যেতে পারে।

হেয়ার রিবন্ডিংয়ের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এসব সমস্যার হাত থেকে সহজে রক্ষা বা প্রতিকার পেতে হলে হেয়ার রিবন্ডিংয়ের পর কিছু বিশেষ উপায়ে চুলের যত্ন নিতে হবে।

রিবন্ডিং করা চুল গরম পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না, সবসময় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুলে বা পরিষ্কার করলে চুলের মান ভালো থাকে;
নিয়মিতভাবে চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে;
চিকন দাঁতের চিরুনি বর্জন করতে হবে এবং মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে;
ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখা যাবে না;
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করার পর সম্পূর্ণভাবে সেটা ধোয়া হয়েছে কি-না, সব সময় খেয়াল রাখতে হবে;
চুলে শ্যাম্পু করার আগে সপ্তাহে ৩-৪ বার কুসুম গরম নারকেল তেলের সঙ্গে চুলের ভিটামিন ক্যাপসুল ম্যাসাজ করা যেতে পারে।
চুল রিবন্ডিং করার পর নতুন করে কোনো কালার, হাইলাইটস বা চুলের স্টাইল না করাই ভালো।
গোসলের পর চুল খুব ভালোভাবে শুকাতে হবে, এ ক্ষেত্রে সরাসরি সূর্যের আলোয় শুকানো যাবে না।
সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে হেয়ার মাস্ক লাগানো যেতে পারে, কারণ এতে চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
বেশি করে পুষ্টিকর খাবার_ মাছ, মাংস, বাদাম, দুধ ও ফল খেতে হবে।
চুল কখনোই বেণি করে রাখা যাবে না।
একটি কলা, একটি ডিম, ৫ চামচ টক দই ব্লেন্ড করে বাসায় প্রোটিন প্যাক বানিয়ে আধঘণ্টা চুলে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ছবি ও লেখা - ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত