লিপ লাইনার দিয়ে আপনি ঠোঁটের চারপাশে শুরু করে লাইন আঁকুন এতে লিপস্টিক লাগানোর সময় তা বেরিয়ে যাবে না । লিপ লাইনার দিয়ে আপনি ঠোঁটের শেপ চিট করতে পারেন, যেমন ধরুন আপনার ঠোঁট যদি খুব শুরু হ্য় তাহলে লিপ লাইন থেকে একটু বেরিয়ে আউটলাইন করুন, তারপর লিপস্টিক লাগান। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে একটু যদি লাইনার লাগান তারপর লিপস্টিক লাগালে অনেক্ষণ রং ইনট্যাক্ট থাকবে।

দীর্ঘ সময় লিপস্টিক ভালো রাখতে যা করতে পারেন 

স্ক্র্যাবিং

ত্বকের মতো ঠোঁটেও থাকে মৃতকোষ। তাই ঠোঁটেও স্ক্র্যাবিং করা জরুরি। মৃত কোষের ওপর লিপস্টিক দিলে খুব স্বল্পস্থায়ী হয়। তাই ঠোঁট স্ক্র্যাবিং করুন নরম টুথব্রাশ দিয়ে। কিংবা চালের গুড়াও ব্যবহার করতে পারেন স্ক্র্যাবিংয়ের জন্য। স্ক্র্যাবিংয়ের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিংয়ের জন্য ভালো লিপ বাম ব্যবহার করুন।

লিপ লাইনার দিয়ে লাইন আঁকুন

লিপস্টিকের চাইতে লিপ লাইনার বেশিক্ষণ থাকে ঠোঁটে। লিপ লাইনার ছড়ায় না তাই ঠোঁটের আশেপাশের ত্বকে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে না লিপ লাইনার দিলে। লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপস্টিকের রঙের সাথে মিলিয়ে ভালো লিপ লাইনার লাগিয়ে নিন।

টিস্যু চেপে নিন

লিপস্টিক লাগিয়ে ঠোঁটের মাঝে একটি টিস্যু পেপার চেপে ধরুন। এতে লিপস্টিকের বাড়তি তেল শুষে নিবে টিস্যু পেপার। ফলে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় কমবে। সেই সঙ্গে দারুণ ম্যাট ফিনিশিং পাবেন।

পাউডার

লিপস্টিক লাগিয়ে টিস্যু পেপার দিয়ে বাড়তি অংশ শুষে নেওয়ার পর পাউডার ব্রাশ দিয়ে একটি পাউডার লাগিয়ে নিন ঠোঁটে। বাড়তি পাউডার ঝেড়ে ফেলে আরেক কোট লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। এবার এই কোটের ওপরেও টিস্যু চেপে ধরুন। এই পদ্ধতিতে লিপস্টিক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অক্ষত থাকবে।

সঠিক লিপস্টিক নির্বাচন

মার্কেটে বেশ কিছু লিপস্টিক পাওয়া যায় যেগুলো ম্যাট ফিনিশিংয়ের এবং দীর্ঘ সময় ঠোঁটে থাকার ফর্মুলায় তৈরি। এ ধরণের লিপস্টিক বেছে নিন আপনার জন্য।