(১)অনেক সময় তরকারিতে তেল বেশি হয়ে যায়। কী করবেন তখন? প্রথমে তরকারিটি ঠান্ডা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নামতে দিন। তারপর পরিমাণ বুঝে নিয়ে ছেড়ে দিন কয়েক টুকরো বরফ। কয়েক সেকেন্ড পর দেখবেন বরফের শরীরে বসে গেছে বাড়তি তেল। তাড়াতাড়ি বরফ তুলে ফেলে দিন। আবার গরম করে নিন তরকারি।

(২)দুধ যদি ফেটে যায় অথবা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে পুরোপুরি ছানা তৈরি করে চিনি মিশিয়ে জ্বাল করে নিন। চমত্কার নাশতা তৈরি হবে, মিষ্টিও তৈরি হবে।

(৩)সরষে ইলিশ! নাম শুনলেই জল আসে মুখে কিন্তু অনেক সময় বাটা সরিষায় থাকে তিতকুটে স্বাদ।এটা রোধ করতে বাটার সময় সামান্য লবণ ও কাচামরিচ দিলে তিতা ভাব চলে যায়।

(৪)তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে ফেললে এক দলা ময়দার খামির তরকারিতে ছেড়ে ফুটতে দিন। পরে ময়দার দলাটি তরকারি থেকে তুলে ফেলে দিন। তরকারির অতিরিক্ত লবণ কমে যাবে।

(৫)ডিম সিদ্ধ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে ফেটে সাদা অংশ বের হয় পড়ে। সেক্ষেত্রে এক চিমটি লবণ পানিতে দিয়ে সেই পানিতে ডিম সিদ্ধ করুন। ডিম ফাটবেনা।

(৬) মাংস সিদ্ধ না হলে কাঁচা পেঁপের টুকরো ফেলে দিতে পারেন মাংসের হাঁড়িতে অথবা সুপারির বড় টুকরা ফেলে দিন। আবার রান্না শেষে সুপারির টুকরোটি তুলে ফেলুন।

(৭) কেক বানাতে গিয়ে যদি ডিমের পরিমান কম থাকে তাহলে একটু র্কণফ্লাওয়ার ব্যবহার করে দেখবেন ডিমের ঘাটতি কেটে গেছে।

(৮) লাড্ডু জাতীয় মিষ্টি বেশি দিন ঘরে রাখলে বাসি হয়ে যায়। খেতেও ভালো লাগেনা। তাই এই লাড্ডুগুলো হাত দিয়ে ভেঙে অল্প দুধে ফুটিয়ে নিন। চমত্কার পায়েস তৈরি হবে।

(৯) নেতিয়ে পড়া লেটুস পাতা তরতাজা করতে হলে একটি আলুর খোসা ছাড়িয়ে কুচিকুচি করে লেটুসপাতাসহ ঠান্ডা পানিতে ছেড়ে দিন।

(১০) অসাবধানতা বশত পোলাও রান্না শেষে দেখলেন খুব বেশি নরম বা জ্যাবজ্যাবে হয়ে গেছে, তখন একটুও মন খারাপ না করে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তোয়ালে বিছিয়ে তার ওপর পোলাও ঢেলে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন পোলাওয়ের জ্যাবজ্যাবে ভাবটি তোয়ালেতে টেনে কেমন ঝরঝরে করে তুলেছে।