আগামী মাসেই বাজারে আসছে ইলিশ মাছ থেকে তৈরি দুইটি খাদ্যপণ্য। সারা বছর সুলভ মূল্যে জাতীয় মাছের স্বাদ পেতে সরকার এই দুইটি ইলিশজাত পণ্য চালু করছে। খাদ্যপণ্য দুইটি হলো ইলিশ স্যুপ ও নুডলস। সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর (ডিওএফ) শিগগিরই ভার্গো ফিস অ্যান্ড এগ্রো প্রসেস লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই ইলিশ পণ্য দুইটি তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। আগামী জানুয়ারি মাসে পণ্য দুইটি বাজারে ছাড়বে প্রতিষ্ঠানটি। উৎপাদনের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। মৎস অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা ইলিশ থেকে তৈরি পণ্য দুইটি প্রস্তুত করেছে।

২০১৬ সালে ‘ইকোফিস বিডি’ নামে এক প্রকল্পের অধীনে মৎস অধিদপ্তর ইলিশ থেকে মূল্য সংযোজিত পণ্য তৈরির উদ্যোগ নেয়। পণ্য দুইটি তৈরিতে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে প্রকল্পটি । এক বছর ব্যাপী গবেষণার পর ইলিশ স্যুপ ও নুডলস পণ্য দুইটি প্রস্তুত করা হয়। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নওশাদ আলম ও তার দল। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধ্যাপক নওশাদ আলম ও তার দল ইতিমধ্যে ইলিশ স্যুপ ও নুডলসের প্রস্তুতি পদ্ধতি চূড়ান্ত করেছেন। তারা আশা করছেন নতুন বছরের প্রথম মাসেই এই পণ্য দুইটি বাজারে ছাড়া যাবে। জানা গেছে, ইলিশ স্যুপ ও নুডলস প্রস্তুতের পর মৎস অধিদপ্তর বেসরকারি কোম্পানি ভার্গো ফিস অ্যান্ড এগ্রো প্রসেস লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। ওই কোম্পানিটিই উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রকল্পের গবেষকরা ওই স্যুপ ও নুডলসের নমুনা নিয়ে প্রত্যক্ষ মিশ্রণ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা অনুসন্ধান করবে। এ অনুসন্ধান পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ। বেসরকারি কোম্পানীটিকে পণ্য দুইটির প্রযুক্তি হস্তান্তরের আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে জানুয়ারি মাসের মাঝেই মৎস অধিদপ্তর ওই পণ্য দুইটি জনসাধারণের সামনে উন্মুক্ত করবে। সেসময় ভার্গো ফিস লিমিটেডকে প্রযুক্তিটি হস্তান্তরও করা হবে। তবে ইলিশজাত পণ্য দুইটি রপ্তানি করার সম্ভাবনা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।