যদি মেছতা প্রতিরোধ করতে চান,তাহলে অব্যশই চেহারার পরিস্কারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে । চেহারা ছোঁয়ার আগে অব্যশই হাত ধুয়ে নিন , সবসময় নিজের তোয়ালে , লেপ পরিষ্কার রাখুন । প্রতিদিন সকাল ও রাতে চেহারা পরিস্কার করুন এবং মেক-আপ করার পর অব্যশই ভালভাবে নিজেদের চেহারা পরিস্কার করুন ,যাতে চেহারার রোগজীবাণু প্রতিরোধ করা যায় । যদি চোকলেট, মিষ্টি, কফি খেতে পছন্দ করেন ,তাহলে এসব খাবার কম খাওয়া ভালো । কারণ বেশি চিনি উপাদান খেলে সহজভাবে মেছতা সৃষ্টি হয় । ঝাল খাবার পছন্দকারীরা কম ঝাল খাওয়াও ভালো । ঝাল খাবার মুখের ফুস্কুড়িও ত্বরান্বিত করে । বেশি ফল খেলে , শরীর যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করবে, ফলে মেছতা কম হবে ।কাজে অতি ব্যস্ততার জন্য মাঝে মাঝে আমরা সারারাতে না ঘুমিয়ে তা সম্পন্ন করি । কিন্তু রাতে না ঘুমালে তা চেহারার মেছতার সৃষ্টি ত্বরান্বিত করবে । কারণ চামড়ার স্বর্ণ রাসায়নিক রূপান্তর সময় হল রাতে ১১টা থেকে ভোর ২টা পর্যন্ত । এ জন্য সুখী, স্থিতশীল মন বজায় রেখে চিন্তাভাবনা দূর করা এবং যথেষ্ট ঘুম নিশ্চিত করলে , চেহারার মেছতা অবিলম্বে দেখা যায় না । যথেষ্ট ও মিষ্টি ঘুম মেছতা প্রতিরোধ করার পাশাপাশি আরো অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায় ।

মেছতা প্রতিরোধক মাস্ক :

১. ডিম ও লেবু রস- কিছু লেবু রস এবং একটি ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে করুন তার পর চেহারায় রেখে দেন । অর্ধেক ঘন্টা পর পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন । অব্যাহতভাবে দু’সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের সূক্ষ্মরন্ধ্র ছোট হয়ে যাবে , ফুস্কুড়িও কমে যাবে এবং চামরা আরো নরম ও ফর্সা হবে ।

২.ঘৃতকুমারী পাতার রস , শসা ও মধু- ঘৃতকুমারী পাতার রস বিষাক্ত উপাদানের প্রতি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে । এ জন্য চেহারা মেছতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দেয়, চেহারার ত্বকের নরম হবে এবং কিছু ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না । যদি আপনার মুখের মেছতা খুব গুরুতর , তাহলে ঘৃতকুমারী পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান, প্রতিদিন দু’বার ,প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার ,কার্যকরভাবে মেছতা প্রতিরোধ করা যায় । ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু এ একটি ছোট শসা ছোট করে মিশিয়ে মাস্ক করে এবং মেছতার ওপর রেখে দিন, চামড়ার ফুস্কুড়িও প্রতিরোধ করতে পারে ।

উল্লেখ্য যে, মুখে যদি মেছতা থাকে, তাহলে মেক-আপ না করা ভালো । কারণ মেক-আপ ক্রিম ত্বকের সূক্ষ্মরন্ধ্রের স্বাভাবিক রূপান্তর বাধা দেবে এবং মুখের মেছতা গুরুতর হবে ।

সহজ এবং কার্যকরী ২টি প্যাকের কথা।

লেবুর রস – লেবুর রসে আছে ত্বক ব্লিচিং করার উপাদান যা ত্বকের যেকোন প্রকার দাগ দূর করে থাকে। এছাড়া লেবুর রস ব্যবহারে ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠে।

# ত্বকে কালো বা খয়েরী দাগে আক্রান্ত জায়গায় লেবুর রস দিয়ে দিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন করুন। ২ মাসের মধ্যে আপনি পার্থক্য দেখতে পারবেন। সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা সরাসরি লেবু ব্যবহার না করে সাথে মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

# আরেকভাবে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। লেবুর রসের সাথে পরিমাণ মত চিনি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এবার পেস্টটি ত্বকে না মিলে যাওয়া পর্যন্ত ঘষুন। বিশেষ করে ত্বকের খয়েরী দাগের জায়গাগুলোতে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। ৫-১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে কয়েকবার করুন। আপনি চাইলে এতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। চন্দন – চন্দনে অ্যান্টি এইজিং এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান আছে যা ত্বকের হাইপারপিগমেনশন কমিয়ে মেছতার দাগ দূর করে থাকে।

# ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, এবং লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি কালো বা খয়েরী দাগের ওপর লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কয়েকবার এটি করুন।

# ১ টেবিল চামচ কমলার রস, ১ চা চামচ লেবুর রস, ভিটামিন ই, ২ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। ভাল করে এই প্যাকটি মুখে লাগান। আধা ঘন্টার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন। আর দেখুন পার্থক্য।

# প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চন্দন পাউডার, অলিভ অয়েল, বাদাম অয়েল মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। সারারাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র - ইন্টারনেট থেকে কালেক্টেড