রমজানের খাবার চার্ট তৈরি করতে কিছু বিশেষ দিক খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে ইফতারে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন, ফলে খুব তাড়াতাড়ি মুটিয়ে যান। সংযমের মাস হলেও দেখা যায় অনেকেই এই মাসে বেশ কয়েক কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলছেন। ডাক্তাররা যতই নিষেধ করুক না কেন ইফতারে ভাজা-পোড়া খাওয়াটা হয়েই যায়। তাই খেতে হবে অবশ্যই রয়ে সয়ে যেন ওজন না বাড়ে। বরং আমরা চাইলে সহজেই রমজানে কিছুটা ওজন কমিয়ে আনতে পারি। প্রয়োজন কেবল সঠিক ডায়েট প্ল্যান। প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান মিলিয়ে তৈরি করতে হবে এই ডায়েট প্ল্যান।

যারা শারীরিক কোন ক্ষতি ছাড়া রমজান মাসে ওজন কমাতে চান এই ডায়েট প্ল্যানটি তাদের জন্য। অনেকেই সেহরিতে কিছুই খান না, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

রমজানের ডায়েট এমন হতে হবে, যেটাতে সকল পুষ্টি উপাদান থাকে, সেহরি এবং ইফতারে ভরপেট খাওয়া যাবে আবার ওজনও কমবে। 

সেহরি -

সেহরিতে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে কিছু খাওয়াটা ঝামেলারই বটে। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে খেতে যাবেন না। ফজরের নামাযের অন্তত ৩০ মিনিট আগে খাবার খেয়ে ফেলবেন। যেমন- ডায়েট চার্ট১- ভাত ১কাপ, শব্জি, ডাল এবং ১ পিস মাছ বা মাংস। ডায়েট চার্ট২- রুটি, সবজি, একটা ডিম। ভারী কিছু খেতে না চাইলে কিছু ফল, ১ কাপ গরম দুধ খেয়ে নিতে পারেন। সাথে চলতে পারে একটি কলা। সেহরি শেষ করে একটু দই খেতে পারেন। শরীরে অনেক শক্তি জোগাবে। এতে করে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি এর সাপ্লিমেন্ট জোগাবে। আর পানি খেয়ে নেবেন প্রয়োজনমত।

ইফতার -

১) প্রথমে লেবুর অথবা ডাবের পানি দিয়ে ইফতার শুরু করবেন। আর্টিফিশিয়াল রঙ যুক্ত পানীয়, সফট ড্রিঙ্ক একদমই পরিহার করবেন।

২) খেজুর এবং অন্যান্য ফল কলা, আম, শসা, গাজর, আপেল, আঙ্গুর খেতে পারেন। অথবা সব ফল দিয়ে আর মিষ্টি দই দিয়ে একটি সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে প্রচুর শক্তি পাবেন। তবে খেজুর অল্প খাবেন। বেশি হলে ২ টা।

৩) একটু বিরতি দিন, একবারে সব খাবার খাবেন না। মাগরিবের নামাযের পর খেতে পারেন ২টা পিয়াজু, ১টা বেগুনি, ১ টা আলুর চপ বা অন্য কোনো খাবার। আর সাথে একটু ছোলা খেয়ে নিবেন প্রচুর সালাদ সহকারে। খাওয়ার পর সাথে সাথে পানি খাবেন না। অন্তত ১০ মিনিট পর পানি পান করুন। ভাজা পোড়া কিছু খেতে না চাইলে খেতে পারেন চিঁড়া ও দই, সাথে দিতে পারেন অনেকটা ফল। খেতে পারেন কাবাব ও নান রুটি, কিংবা অল্প কোনো চাল জাতিয় খাবার সাথে প্রচুর সালাদ দিয়ে। তবে মনে রাখবেন, খাবার যাই খান না কেন সাথে সমপরিমাণ সালাদ অবশ্যই থাকতে হবে।

রাতের খাবার -

১) যদি সেহরি তে মাছ খান , তাহলে রাতে মাংস খেয়ে নিবেন। এইভাবে অদল বদল করে রাতের খাবার টা খাবেন।

২) ভাত বেশি না খেয়ে সবজি বেশি করে খান। রুটি খেলে আরও ভালো।

৩) রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু গরম দুধ, লাচ্ছি, অথবা একটু পনির খেতে পারেন।