কাস্টার্ড ডিলাইট

উপকরণ :
১. কাস্টার্ড পাউডার সিকি কাপ,
২. দুধ ১ লিটার,
৩. চিনি আধা কাপ,
৪. ভ্যানিলা ১ চা চামচ,
৫. নরমাল কেক ৪ টুকরা,


৬. পাকা আম ১টি,
৭. আপেল ১টি,
৮. আঙুর সিকি কাপ,
৯. পাকা কলা ১টি,
১০. হুইপ ক্রিম আধা টিন।

প্রণালি :
> দুধ, কাস্টার্ড পাউডার, চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে অল্প আঁচে চুলায় জ্বাল দিন।
> ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
> এবার বাকি ফলগুলো একেবারে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে এর মধ্যে মিশিয়ে নিন। মেশানোর সময় আস্তে আস্তে মেশাতে হবে।
> পরিবেশন পাত্রে দিয়ে ওপরে হুইপ ক্রিম ও ফল দিয়ে সাজিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

আমের পায়েস

উপকরণ :
১. দুধ ১ লিটার,
২. বাসমতি চাল ১/৪ কাপ,
৩. পাকা আম (ব্লেন্ড করা) ২ কাপ,
৪. ঘি ১ চা চামচ, চিনি আধা কাপ,


৫. জাফরান সামান্য,
৬. এলাচ ২-৩টি,
৭. পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ,
৮. কিশমিশ ৬-৭টি,
৯. গোলাপ পানি আধা চা চামচ।

প্রণালি :
> প্রথমে চাল ধুয়ে একটি পাত্রে পানির মধ্যে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ঝরিয়ে চালগুলো ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।

> এবার একটি প্যানে ঘি দিন। ঘি গরম হয়ে এলে তাতে দুধ দিয়ে নাড়তে থাকুন।
দুধ ফুটতে শুরু করলে ব্লেন্ড করা চালের গুঁড়ো ও জাফরান দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন।
ঘন হয়ে এলে চিনি ও সামান্য গোলাপজল দিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। এবার এতে ব্লেন্ড করা আম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

> একটু ঠাণ্ডা হয়ে এলে পেস্তা বাদাম কুচি ও কিশমিশ দিয়ে গার্নিশ করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর নামিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন সুস্বাদু আমের পায়েস।

মালাই সেমাই

উপকরণ :
১. দুধ দুই লিটার,
২. লাল সেমাই এক কাপ,
৩. চিনি আধা কাপ,


৪. কনডেন্সড মিল্ক এক কাপ,
৫. এলাচ তিন-চারটি,
৬. দারুচিনি আধা ইঞ্চি,
৭. ঘি এক চা চামচ,
৮. বাদাম ৫টি কুচি,
৯. কিশমিশ পছন্দমতো।

প্রণালি :
> প্রথমে দুধ মৃদু আঁচে রেখে এলাচ আর দারুচিনিসহ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ফেলুন। এখন চিনি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন।

> এরপর ঘিয়ে সেমাই অল্প আঁচে লাল লাল করে ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন, বেশি ভাজা করলে খেতে ভালো লাগবে না।

> এখন তৈরি করা দুধের মালাইয়ের সঙ্গে সেমাই মিশিয়ে কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রাখুন। নামিয়ে ঠান্ডা করুন দেখবেন, সেমাই ঘন হয়ে যাবে। বাদাম কুচি ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

বাসবুসা

উপকরণ :
১. সুজি ২ কাপ (এখান থেকে আধা কাপ আলাদা তুলে গুঁড়া করে নিয়ে আবার মেশাতে হবে),
২. বেকিং পাউডার ২ চা চামচ,
৩. মাখন ২/৩ কাপ,
৪. চিনি ২/৩ কাপ,
৫. ডিম ২ টি,


৬. ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা চামচ,
৭. কুরানো নারকেল ১কাপ,
৮. টক দই (পানি ঝরানো) ১ কাপ।

শিরার উপকরণ :
১. চিনি ২ কাপ,
২. পানি ২ কাপ,
৩. লেবুর রস ১ টেবল চামচ,
৪. গোলাপ পানি ২ চা চামচ।

প্রণালি :
> চিনি ও পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। চিনি গলে পানি ভালোভাবে ফুটলে লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে। শিরা অনেক ঘন বা বেশি পাতলা হবে না। শিরা হয়ে গেলে নামিয়ে গোলাপ পানি দিয়ে নেড়ে দিন।
> সুজি ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন।
> এবার হ্যান্ডবিটার দিয়ে মাখন ও চিনি ভালোভাবে বিট করে একে একে ভ্যানিলা, ডিম, টকদই, নারকেল ও সুজি দিয়ে মেশাতে হবে। এবার বেকিং ট্রে মাখন দিয়ে গ্রিজ করে ওপর থেকে ময়দা ছিটিয়ে ভালোভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে বাটিটা উল্টে অতিরিক্ত ময়দা ফেলে দিন।
এরপর বাসবুসার ময়ান ট্রেতে ঢেলে ওপর থেকে সমান করে দেড় থেকে দু’ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন।
ফ্রিজ থেকে বের করে বরফি বা চারকোণা করে কেটে কেটে প্রতিটার মাঝে অর্ধেক বা একটি করে বাদাম বিছিয়ে চেপে দিন। এবার ১৯৩ ডিগ্রী প্রিহিট ওভেনে ৪০ মিনিট বেক করুন।
বেক করার পর আবার ধারালো ছুরি দিয়ে স্লাইস করা দাগের ওপর দিয়ে আরেকবার দাগ দিন।

সঙ্গে সঙ্গে চিনির শিরা বাসবুসার ওপরে চারিদিকে ঢেলে (খেয়াল রাখবেন যেন সবদিকে চিনির শিরা লাগে এবং পুরোটাই ঢেলে দিন) দিন।

> আবারো পনেরো মিনিট বেক করুন। বেক করার পর আধা ঘন্টা ওভেনের মধ্যেই রাখুন।
আধা ঘন্টা পর বের করে পুরো ঠান্ডা করেই তারপর আরেকবার ছুরি দিয়ে পিসগুলি কেটে সার্ভ করুন মজাদার বাসবুসা।

শির খোরমা

উপকরণ :
১. ৫০০ মিলিলিটার বা ৩ কাপ দুধ,
২. ১ টেবিল চামচ ঘি,
৩. ১ টেবিল চামচ চিনি,
৪. ১/২ কাপ সেমাই,


৫. ৭-৮টি কাজুবাদাম,
৬. ৮-৯টি কাঠবাদাম,
৭. ৮-৯টি পেস্তা বাদাম,
৮. ৮-৯টি খেজুর (বীজ ছাড়া),
৯. ৪টি এলাচ,
১০. ১ টেবিল চামচ কিশমিশ,
১১. ১/২ থেকে ১ চা চামচ গোলাপ পানি।

প্রণালি :
> প্রথমে সেমাই কিছুক্ষণ ভেজে নিন। বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তেল অথবা ঘিয়ের মধ্যে ভাজতে পারেন অথবা শুধু তেল ঘি ছাড়াও ভেজে নিতে পারেন।
> একই পাত্রে ঘি, কাজুবাদাম কুচি, পেস্তা বাদাম কুচি, খেজুর কুচি, কিশমিশ, এলাচ দিয়ে ৩-৪ মিনিট ভাজুন।
> অন্য একটি পাত্রে দুধ জ্বাল হতে দিন। অল্প আঁচে ৮-১০ মিনিট জ্বাল দিন। ঘন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন।
> এরসাথে ভাজা সেমাই, দুধ এবং চিনি দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ৮-১০ মিনিট রান্না করুন।
> দুধ ঘন হয়ে কমে এলে এতে ভাজা কাজু বাদাম, কিশমিশ, কাঠ বাদাম কুচি, খেজুর কুচি এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।
> কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর নামিয়ে ফেলুন।
> বাদাম কুচি, গোলাপের পাপড়ি দিয়ে পরিবেশন করুন শির খোরমা।

সেমাইয়ের মুজাফের

উপকরণ :
১. সেমাই ১০০ গ্রাম,
২. মাখন ১০০ গ্রাম,
৩. এলাচ ৬-৭টি,
৪. চিনি ১ কাপ বা স্বাদমতো,


৫. পানি ৩-৪ কাপ,
৬. গুঁড়া দুধ ২ কাপ ( দেড় কাপ পানিতে গুলে নেয়া ),
৭. গোলাপ পানি ১ টেবিল চামচ,
৮. জাফরান রঙ সামান্য,
৯. কিসমিস, বাদাম ও মাওয়া পরিমাণমতো।

প্রণালি :
> একটি ছড়ানো পানে বাটার গলিয়ে এলাচ দিয়ে সামান্য ভেজে সেমাই দিয়ে দিতে হবে। সেমাই হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে।
> এবার অন্য একটি চুলায় ৩/৪ পানিতে এক কাপ চিনি গলিয়ে নিয়ে জাফরান রঙ দিতে হবে। গোলাপ পানি যোগ করে দিন।
> এই চিনির মিশ্রনটি সেমাই এর মধ্যে দিয়ে নাড়াচাড়া করে পানি শুকিয়ে আসলে দুধ দিয়ে একটু নেড়ে লেবুর রস দিতে হবে।
> লেবুর রস দুধ ফেটে ছানার মত হবে এবং এইটাই এই সেমাই এর বিশেষত্ব।
> সেমাই কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করার পর মাখা মাখা হয়ে আসলে ২০-২৫ মি: দমে রাখতে হবে।
> একটি তাওয়া-এর ওপর দম দিলে খুব ভালো হবে। দম শেষে সেমাইটা ঝর ঝরে হবে।
> এবার একটি সার্ভিং ডিসে ঢেলে বাদাম,কিসমিস ও মাওয়া দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আমের ফিরনি

উপকরণ :
১. চাল ৪ টেবিল-চামচ, ২০ মিনিট পানিতে ভিজানো।
২. মিষ্টি আমের পাল্প ১ কাপ।
৩. দুধ ১ লিটার।


৪. এলাচ ২/৩টি।
৫. গুঁড়াদুধ ৩ টেবিল-চামচ।
৬. চিনি ৪ টেবিল-চামচ বা আরো একটু বেশি।

প্রণালি :
> দুধে এলাচ দিয়ে অল্প আঁচে গরম করতে থাকুন। ঘন ঘন নাড়ুন যাতে পাত্রের নিচে ধরে না যায়। চাল থেকে পানি ঝরিয়ে গুঁড়া করে নিন। একদম মিহি গুঁড়া করবেন না মানে আধা ভাঙা রাখুন।
> দুধ ঘন হতে থাকবে ১৫ মিনিট পর থেকেই, এখন গুঁড়াদুধ আর চিনি দিয়ে দিন। এবার চালের গুঁড়া অল্প অল্প করে ঢালতে থাকুন আর ঘন ঘন নাড়ুন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। চালের গুঁড়া দেওয়ার পর থেকে দুধ আরো ঘন হতে থাকবে।
> চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে আমের পাল্প দিন। মিষ্টি ঠিক আছে কিনা দেখুন। কম মনে হলে আরো একটু আম বা চিনি দিতে পারেন।
> নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন আবার ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডাও পরিবেশন করতে পারেন মজাদার আমের ফিরনি।

বি.দ্র.:
* চালের গুঁড়া খুব ধীরে ধীরে দুধের মধ্যে ঢালবেন আর সমানে নাড়বেন। একবারে ঢেলে ফেললে জমাট বেঁধে যাবে।
* আমের পাল্প করতে একটা পাকা আম টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। অথবা বাজারে অনেক ধরনের আমের পাল্প কিনতে পাওয়া যায়।
* আম যদি খুব মিষ্টি হয় তাহলে চিনি কম লাগবে।

গাজরের পায়েস

উপকরণ :
১. গাজর কুচি দুই কাপ,
২. ঘি দুই টেবিল চামচ,
৩. দুধ তিন কাপ,
৪. চিনি এক কাপ,


৫. কনডেন্সড মিল্ক দুই টেবিল চামচ,
৬. কাজুবাদাম পাঁচ-ছয়টি,
৭. কিশমিশ ১০টি,
৮. পেস্তাবাদাম পাঁচ-ছয়টি,
৯. জাফরান সামান্য,
১০. এলাচ গুঁড়া সামান্য।

প্রণালি :
> প্রথমে গাজর ভালো করে ধুয়ে কুচি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার একটি প্যানে ঘি দিয়ে তাতে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম ও কিশমিশ ভেজে প্লেটে তুলে রাখুন। আবারও প্যানে ঘি দিন। এখন এতে ব্লেন্ড করা গাজর দিয়ে পাঁচ মিনিট নাড়তে থাকুন। এর পর এতে দুধ দিয়ে মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। ফুটতে শুরু করলে এতে চিনি ও কনডেন্সড মিল্ক দিন। ভালো করে সব উপাদান মিশিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট রান্না করুন। ঘন হয় এলে এতে এলাচ গুঁড়া দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এবার বাটিতে ঢেলে এর ওপর জাফরান, বাদাম ও কিশমিশ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু গাজরের ক্ষীর।

ট্রফেল

উপকরণ :
১. হুইপ ক্রিম ২ কাপ,
২. আপেল ১টি, আম ১টি,
৩. চেরি, আঙুর,


৪. বেদানা এক কাপ,
৫. ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ,
৬. কেক ১ কাপ,
৭. জেলি সিকি কাপ।

প্রণালি :
> সাধারণ কেক ছোট কিউব করে কেটে নিন।
> পরিবেশন পাত্রে সব ফল ছোট ছোট করে কেটে রাখুন।
> এবার হুইপ ক্রিম কেকে মিশিয়ে নিন।
> এবার পাত্রে কেক দিয়ে তার ওপর জেলি ঢেলে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

টিরামিশু

উপকরণ :
১. ডিমের কুসুম ১০টি,
২. গুঁড়া চিনি আধা কাপ,
৩. হেভি ক্রিম ২ কাপ,
৪. লেডিস ফিঙ্গার কুকিজ ১০টি,


৫. কফি ৩ চা চামচ,
৬. পানি ১ কাপ,
৭. ক্যারামেল সস সিকি কাপ,
৮. কোকো পাউডার ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> ডিমের কুসুম ও গুঁড়া চিনি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
> ডিমের কুসুমের রং পাল্টে গেলে এর মধ্যে হেভি ক্রিম মেশান।
> পরিবেশন পাত্রে লেডিস ফিঙ্গার কুকিজ দিয়ে তাতে কফি ও পানি দিয়ে বানানো সিরাপ ও ক্যারামেল সস দিয়ে দিন। তারপর কুসুমের মিশ্রণ ঢালুন।
> এইভাবে লেয়ারে লেয়ারে ৩ থেকে ৫ বার দিয়ে একেবারে ওপরে কোকো পাউডার ছিটিয়ে ফ্রিজে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

ড্রাই কাস্টার্ড উইথ ড্রাই ফ্রুট

উপকরণ :
১. গুঁড়া দুধ ৫০০ গ্রাম,
২. কাস্টার্ড পাউডার ২০০ গ্রাম,
৩. চিনি ২৫০ গ্রাম,
৪. চিনা ঘাস ২০০ গ্রাম,


৫. স্টেরিলাইজড ক্রিম ১৪০ গ্রাম,
৬. পানি ৩ লিটার,
৭. খোরমা ৩০ গ্রাম,
৮. মিষ্টি আলুবোখারা ৬০ গ্রাম।

প্রণালি :
> প্রথমে চিনা ঘাস এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিন। গুঁড়ো দুধ, পানি একত্রে মিশিয়ে জ্বাল দিন। ফুটে উঠলে চিনা ঘাস দিয়ে নাড়তে থাকুন। সম্পূর্ণ মিশে গেলে চিনি দিন। কাস্টার্ড পাউডার মিশিয়ে নামিয়ে ডিশে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। খেজুর ও আলুবোখারা এক ঘণ্টা ভিজিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ঠান্ডা ডেজার্টের সঙ্গে স্টেরিলাইজড ক্রিম মাখিয়ে ওপরে খেজুর, আলুবোখারা ছিটিয়ে ফ্রিজে ১০ মিনিট রেখে পরিবেশন করুন।

গ্রেপ পারফেকশন

উপকরণ ১ :
১. তরল দুধ ১ লিটার,
২. স্টেরিলাইজড ক্রিম ১ টিন,
৩. কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ,
৪. চিনি স্বাদমতো,
৫. ক্রিম চিজ ১০০ গ্রাম।

উপকরণ ২ :
১. ভেজিটেবল জেলাটিন ১০ গ্রাম,
২. চিনি স্বাদমতো,


৩. লাল আঙুর পরিমাণমতো,
৪. অরেঞ্জ বা লেমন অ্যাসেন্স ৩ ফোঁটা,
৫. লাল খাবার রঙ ৩ ফোঁটা।

প্রণালি :
> উপকরণ ১থেকে কর্নফ্লাওয়ার বাদে বাকি উপকরণ দিয়ে নাড়তে হবে। মিশ্রণটা ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা পানিতে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে দুধে ঢেলে আরও ঘন করে নিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে একটু ঠান্ডা হলে পরিবেশন গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে রাখতে হবে।
> এবার উপকরণ ২ থেকে গরম পানিতে জেলাটিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। চুলার প্যানে পরিমাণমতো পানি ও চিনি দিয়ে ফুটিয়ে, সঙ্গে জেলাটিনের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে হবে। নামানোর আগে অ্যাসেন্স ও লাল রঙ দিয়ে দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে আঙুর কুচি দিয়ে ফ্রিজে রাখা মিশ্রণের ওপরে এই মিশ্রণটা ঢেলে দিতে হবে। ওপরে আবার আঙুর কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

মিনি ক্র্যাঞ্চি কুনাফা

উপকরণ :
ভাজার জন্য :
১. লাচ্চা সেমাই ১ প্যাকেট,
২. ঘি ১ কাপ,
৩. চিনি ১ কাপ।

দুধের মালাইয়ের জন্য :
১. ঘন দুধ ১ কাপ,
২. গুঁড়া দুধ ১ কাপ,


৩. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ।

সাজানোর জন্য :
চেরি, কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম।

প্রণালি :
> সেমাই ভেঙে ছোট করে নিতে হবে। এবার প্যানে ঘি দিয়ে লাচ্চা ভাজতে হবে ও অল্প পরিমাণ চিনি দিতে হবে। এভাবে সোনালি করে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে। এবার অন্য একটি প্যানে দুধ জ্বাল দিতে হবে। এবার একে একে গুঁড়ো দুধ ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। ক্রিমের মতো হয়ে এলে নামাতে হবে। এবার ছোট ছোট আইসক্রিমের বাটিতে কুনাফা সেট করতে হবে। প্রথমে ভাজা লাচ্চা চেপে চেপে দিতে হবে। এবার দুধ দিয়ে তৈরি ক্রিম দিয়ে আবার লাচ্চা এবং আবার দুধের ক্রিম দিন। সবশেষে কাজু, পেস্তা ও বাদাম কুচি, চেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে মজাদার মিনি ক্র্যাঞ্চি কুনাফা।

পুডিং

উপকরণ :
১. ঘন দুধ ২ কাপ বা কনডেন্স মিল্ক ১ কৌটা,
২. চিনি ১ কাপ,
৩. ডিম ৪টি,


৪. ২টি এলাচগুঁড়া।
৫. ক্যারামেল তৈরী করতে সমান্য চিনি ।

প্রণালি :
> প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে নিতে হবে। ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচগুঁড়া ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার একটা পাত্র চুলায় দিয়ে তাতে সামান্য ঘি বা তেল বা মাখনের সঙ্গে চিনি দিয়ে ক্যারামেল করে নিতে হবে। এবার চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাপে সেদ্ধ অথবা প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভাপে রাখতে হবে।
> পুডিং ঠাণ্ডা হতে দিন। ছুরি দিয়ে ছাঁচের চারপাশে ঘুরিয়ে কেটে নিতে হবে। প্লেট ছাঁচের মুখে চেপে ধরে উল্টে দিতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু ক্রিম পুডিং।

গুড়ের পায়েস

উপকরণ :
১. পোলাওয়ের চাল আধা কাপ (ভেজানো),
২. দুধ ১ লিটার,
৩. খেজুরের গুড় ৪০০ গ্রাম,
৪. নারকেল কোরানো ১ কাপ,
৫. তেজপাতা ২টি,


৬. দারুচিনি ২ টুকরো,
৭. কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ,
৮. বাদাম কুচি ১ টেবিল-চামচ,
৯. লবণ খুব সামান্য,
১০. পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি :
> দুধ ফুটিয়ে এক লিটার থেকে ঘন করে আধা লিটার করতে হবে। গুড় এক কাপ পানি দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। চাল ধুয়ে তিন কাপ পানি দিয়ে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, লবণ দিয়ে মৃদু আঁচে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল সেদ্ধ হয়ে ঘন হলে তাতে গুড়, নারকেল ও ঘন দুধ দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন গুড়ের পায়েস।

জাফরানি জর্দা

উপকরণ :
১. পোলাওয়ের / বাসমতি চাল ২ কাপ,
২. চিনি ৩ কাপ,
৩. ঘি ৫ টেবিল চামচ,
৪. কমলার রস আধা কাপ,
৫. পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল-চামচ,


৬. খাবার রঙ সিকি চা-চামচ,
৭. কিশমিশ ১০-১২ টা,
৮. দারুচিনি ৪ টুকরা,

এলাচ ৪ টুকরা
গোলাপ পানি ১ টেবিল-চামচ,
মোরব্বা আধা কাপ,
মালাই সিকি কাপ,
ছোট মিষ্টি ১ কাপ।

প্রণালি :
> গোলাপ পানিতে জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ফুটানো পানিতে দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে। ভাত সেদ্ধ হওয়া মাত্র মাড় ঝরিয়ে নিন। আধা কাপ পানিতে চিনি গুলিয়ে লেবুর রস বা দুধ দিয়ে চিনির ময়লা কাটাতে হবে। এরপর ঘি ও এলাচ, দারুচিনি দিতে হবে। এবার ভাত সেদ্ধ আঁচে রান্না করুন। কিশমিশ দিন। পানি শুকিয়ে গেলে জাফরান মিশ্রিত গোলাপ পানি দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে বাকি উপকরণ দিয়ে পরিবেশন করুন।

জর্দা

উপকরণ :
১. চাল ২ কাপ,
২. ঘি ২ টেবিল চামচ,
৩. সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ,
৪. গরমমসলা,


৫. দারুচিনি পরিমাণমতো,
৬. চিনি ২ কাপ,
৭. জাফরান অল্প পরিমাণে,
৮. মোরব্বা ২০ গ্রাম।

প্রণালি :
> চাল সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার সময় কয়েক ফোঁটা সয়াবিন তেল দিয়ে দিন। এতে চাল ঝরঝরে থাকবে। আরেকটি প্যানে তেল ও ঘি দিন। এবার চাল দিয়ে দিন। গরমমসলা, কিশমিশ, দারুচিনি, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভুনতে থাকুন। এক ফাঁকে জাফরান দিয়ে দিন। নামানোর কিছুক্ষণ আগে মোরব্বা কেটে কেটে দিয়ে দিন।

ফিরনি

উপকরণ :
১. তরল দুধ ২ লিটার,
২. গুঁড়া দুধ ২ কাপ,
৩. চাল ২ কাপ (হালকা ভেঙে দিন),


৪. চিনি ৩ কাপ,
৫. এলাচ ৪টি,
৬. পেস্তাবাদাম ৬টি,
৭. দারুচিনি ১/২ ইঞ্চি পরিমাণ।

প্রণালি :
> দুধ অনেকক্ষণ জ্বাল দিতে হয়। দুধের রঙ হালকা লালচে হয়ে আসলে চাল দিয়ে দিন। চালটা নরম হয়ে আসলে চিনি দিই। বলক এলে এলাচি ও দারুচিনি দিয়ে দিন। এরপর পেস্তাবাদাম দিন। পরিবেশনের সময় ওপরে ফল দিয়ে সাজাতে পারেন।

পনিরের পায়েস

উপকরণ :
১. পনির কুচি আধা কাপ,
২. এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ,
৩. দুধ দেড় কাপ,


৪. কনডেন্সড মিল্ক চার টেবিল চামচ,
৫. চিনি আধা কাপ,
৬. আমন্ড কুচি এক টেবিল চামচ,
৭. ক্যাশোনাট কুচি এক টেবিল চামচ,
৮. পেস্তাবাদাম কুচি এক টেবিল চামচ।

প্রণালি :
> প্রথমে একটি প্যানে পনির কুচি ও দুধ দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর এতে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে আরো চার থেকে পাঁচ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন। এবার এতে চিনি, এলাচ গুঁড়া, আমন্ড কুচি, কেশোনাট কুচি ও পেস্তাবাদাম কুচি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এবার ফ্রিজে অন্তত দুই ঘণ্টা ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। পরিবেশনের আগে এর ওপর সামান্য বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন।