টেলিভিশনে শাশুড়ি-বউমার চুলোচুলির প্রথা ভেঙে অন্য ঢঙে মেগা সাজানোর অভিযানে শামিল অনেকেই। তাবড় তাবড় পরিচালকদের মতে, “সাংসারিক কূটকাচালির গল্প দর্শক আর দেখতে চাইছেন না। সারাদিন নিজেদের হাজারো সমস্যা চুকিয়ে মন চায় একটু হাসতে।” এই যুক্তিকে একপ্রকার স্যালুট জানিয়ে ছায়াবাণী বালাজি প্রোডাকশনসের প্রযোজনায় আসছে ধারাবাহিক রাঙিয়ে দিয়ে যাও। পরিচালনা করছেন হরনাথ চক্রবর্তী ও লক্ষ্মণ ঘোষ।

গল্পটা নিপাট প্রেমের। এখানে দু’রকম প্রেম সমান তালে চলবে। এক বাবলু-শিউলির প্রেম, দুই বাবলুর দেশপ্রেম। বাবলুর সঙ্গে শিউলির আড়াআড়ি সম্পর্ক। বাবলুর বাবা-মা মাইন ব্লাস্টে মারা গিয়েছেন। পালিত বাবা-মায়ের কাছে মানুষ সে। বাবলু যত বড় হতে থাকে তত তার মধ্যে সেনা-জওয়ান হওয়ার ইচ্ছা মাথাচাড়া দেয়। এভাবে সে বাবা-মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চায়। জীবনের এই একটাই স্বপ্ন তার। ওদিকে শিউলির চরিত্রটা অন্যরকমের। ছটফটে চনমনে একটা মেয়ে। আড়াআড়ি ভেঙে শিউলির সঙ্গে বাবলুর প্রেম যখন শুরু হওয়ার মুখে তখনই বাবলুকে চলে যেতে হয় যুদ্ধে। তারপর? না সেটা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার সন্দীপ চৌধুরি। তিনি বলেন, “না এর পরেরটা বললে কেউ দেখবেনই না এই ধারাবাহিক। চমকে যাওয়ার মতো সব কাণ্ড ঘটবে এরপর।”

এন টি ওয়ান স্টুডিওয় গড়ে উঠেছে বেগমপুর গ্রাম। ধানের গোলা, তুলসি মঞ্চ, গোয়ালঘর, নিকোনো উঠোন সবই বানানো হয়েছে। গোয়ালঘরে রাখা আছে দুটি গোরুও। বাবলু ঘোষ ওরফে জিতু কমলের সঙ্গে নাকি বেশ ভাবও জমেছে গোরু দুটির। গ্রাম্য পরিবেশটাকে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধারাবাহিকের পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। চাষবাস, মাটি কাটা, দুধ দোয়ানো সবই করতে হচ্ছে বাবলুকে। ধারাবাহিকে অনেকগুলি স্টান্ট-ও দেখা যাবে বলে জানান জিতু কমল। চলন্ত দুটি নৌকায় এক নৌকা থেকে আরেক নৌকায় লাফ-ও নাকি দিতে হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে শিউলি অর্থাৎ টুম্পা ঘোষ নাকি গাছেও চড়ছেন এই ধারাবাহিকে।

জিতু কমল ও টুম্পা ঘোষ ছাড়া ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ফাল্গুনি চ্যাটার্জি, চৈতালি দাশগুপ্ত, শর্মিলা হোড়, চুমকি চৌধুরি প্রমুখ। কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সন্দীপ চৌধুরি। ধারাবাহিকের সিনেমাটোগ্রাফার কার্তিক ও সম্পাদনা করছেন সুমন্ত কুন্তী। শিল্প নির্দেশনায় আনন্দ আঢ্য ও সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন দেবজিত রায়।