জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল জামাই রাজার নায়িকাকে সম্প্রতি হেনস্তা হতে হয়েছে কলকাতাতে, এ নিয়ে খবর প্রচারিত হয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবেলা-তে, দর্শকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো সেই প্রতিবেদন। 

এলাকায় ধর্ষণ হলে, ধর্ষণ বন্ধ হবে না। বন্ধ করতে হবে মেয়েদের যাতায়াত। অন্য কোথাও নয়, এমন দাবি করেছে খাস কলকাতারই একদল যুবক! আর এই ঘটনা ঘটেছে জি বাংলার ‘জামাই রাজা’ ধারাবাহিকের নায়িকা শ্রীমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। ঘটনাটি যখন ঘটে তখন শ্রীমা ফেসবুকে লাইভ ছিলেন।

শ্রীমা অভিনয়ের পাশাপাশি বাগবাজার উইমেন’স কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক করছেন। বৃহস্পতিবার কলেজ ফেরতা ৫ বন্ধুদের সঙ্গে বাগবাজারে গঙ্গার ঘাটে নিছক আড্ডা মারতে গিয়েছিলেন নায়িকা। তখনই ‘‘এখানে মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ’’-এই বলে এক দল যুবক তাঁদের বাধা দেয়।

তখনই শ্রীমা জানতে চান, এ নিয়ম কার তৈরি? কোথায়ই বা লেখা রয়েছে? কেন কোনও বোর্ডে লেখা নেই এমন নিষেধাজ্ঞা? এই সব প্রশ্ন করতেই ওই যুবকের দল সেখান থেকে চলে যায়।

এই খানেই ঘটনার ইতি ভেবে শ্রীমা ও তাঁর বন্ধুরা ফেসবুকে লাইভ আসেন। কিন্তু তখন আবার ওই যুবকের দল এসে বলে, ‘‘এখানে থাকবেন না। এখানে ধর্ষণ হয়েছিল। তার পরে ৫ বছর বন্ধ ছিল এই এলাকা। কিন্তু এখানে মেয়েরা আসে না।’’

এর পর আবার ওই যুবকরা বলে, ‘‘এখানে কলেজের ছাত্রীরা এসে মদ, গাঁজা খায়। আপনারা চলে যান।’’ আগের বারের মতোই শ্রীমা আবার প্রতিবাদ করেন এবং বলেন যে ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন।

এসবের মধ্যেই এক যুবক বলে, সে ভাল করেই চেনে শ্রীমাকে। কিন্তু তাঁদের পক্ষে এলাকা মোটেই নিরাপদ নয়। এই সবের মধ্যেই শ্রীমা ও তাঁর বন্ধুরা ছেলেমেয়ের মধ্যে ভেদাভেদে প্রতিবাদে বলতে থাকেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা যুবকেরা তাঁদের ক্রমশ এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য।

এসবের পরে ফেসবুক লাইভে সবার জন্য একটাই বার্তা রাখেন শ্রীমা। কোথাও ধর্ষণ হলে কি সেখানে মেয়েদের যাওয়া নিষিদ্ধ করতে হয়? নাকি পুরুষদের এটা বলা উচিত, মেয়েরা অবাধে বিচরণ করুন। আমরা আছি রক্ষা করার জন্য।

তবে এই পুরো ঘটনা দেখে একটাই প্রশ্ন অনেকের, ওই যুবকদের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল। আর আদৌ কি ওই এলাকায় ৫ বছর আগে ধর্ষণ হয়েছিল। সবই এখনও ধোঁয়াশায়।