চুল পড়া বন্ধ করে চুলের গোড়া মজবুত করতে,নতুন করে চুল গজানোর ক্ষেত্রে,মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে প্রাচীন কাল থেকেই এসেনসিয়াল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে,গাছের বিভিন্ন অংশ যেমন ফুল,পাতা,শেকড়ের নির্যাস ইত্যাদি থেকে এসেনসিয়াল অয়েল তৈরি হয়, এ ধরণের বেশিরভাগ তেল সাধারণত ৪/৫ ফোটা করে নিয়ে অন্য কোন তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়,যে তেলের সাথে মেশানো হয় সেগুলোকে বলা হয় carrier oil যেমন – জোজোবা তেল,আমন্ড তেল ইত্যাদি,তেল টি শুধু মাথার ত্বকে দিতে হবে, চুলে নয় আর circular motion এ ম্যাসাজ করতে হবে,তবে যে কোন এসেনসিয়াল তেল পুরোপুরি ভাবে ব্যবহারের পূর্বে ত্বকের সামান্য অংশে লাগিয়ে দেখতে হবে যে সেটাতে আপনার এ্যালার্জি আছে কিনা,এসেনসিয়াল অয়েল যেমন কিনতে পাওয়া যায় সেরকম আপনি নিজের বাসায়-ও তৈরি করতে পারেন,এখানে নিজে কিভাবে চুলের জন্য এসেনসিয়াল অয়েল তৈরী করবেন তা দেখান হল - ০১. হার্বাল হেয়ার অয়েলঃ-Alopecia এর কারণে চুল পড়ে যায় অকালেই,কিছু হার্ব আছে যেগুলো চুল গজানোর জন্য বা চুল রক্ষার জন্য উপকারী,এই হার্বাল তেলটি আপনি ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন আপনার চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য এবং ঘন চুল পাবার জন্য,

এটি তৈরী করতে যা যা লাগবে - কারি পাতা (একে আমাদের দেশে বারসুঙ্গা বা নিমভুত গাছের পাতাও বলা হয়)নীম পাতা, তুলসী পাতা, মেথি দানা,আমন্ড তেল,ঢাকনা সহ একটি পাত্র,একটি বোতল,পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো

প্রস্তুত প্রণালীঃ-পাত্র এবং পাতা গুলো ভালো মত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন,সব গুলো পাতা একসাথে খুব ছোট ছোট টুকরো করে নিন বা পিষে নিন,এবার আমন্ড তেল,মেথি দানা,আর পাতা গুলো একসাথে পাত্রে ঢেলে সেটা ঘন না হওয়া পর্যন্ত গরম করতে থাকুন,এরপর পাত্রটি নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঢেকে রাখুন,ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে ব্যবহার করুন,এই তেল ঠান্ডা জায়গায় না রাখলেও হবে,কারি পাতা সব জায়গায় পাওয়া যায় না,সাধারণত ভারতীয় খাবার প্রস্তুত করে এমন দোকান গুলোতে কারি পাতা ব্যবহার করা হয়,ঢাকার কিছু দোকান যেমন নন্দন মেগা শপে মাঝে মাঝে কারি পাতা আনা হয়

০২. লেমন এসেনসিয়াল অয়েলঃ-লেবুর বাইরের অংশ Grate করে নিন,একটি ছোট গ্লাসে বা বোতলে Grate করা অংশটি রাখুন,এবার পুরো বোতলরে বাকি অংশটুকু অলিভ অয়েল দিয়ে ভরে ফেলুন,সূর্যের আলো সব সময় পড়ে এমন জায়গায়