শরীরকে ঝরঝরে ও চাঙ্গা রাখতে চায়ের কোন বিকল্প নেই। নাস্তার টেবিলে এক কাপ চা না হলে যেমন চলেনা, তেমনি বিকালে এক কাপ চা যেন সারা দিনের ক্লান্তিটাই ভুলিয়ে দেয়। আর সেই চা যদি আবার হয় মশলাদার, তাহলে তো তার কথাই নেই। চায়ে মশলা মিশ্রিত করা মানে তাতে সম্পূর্ন ভিন্ন এক স্বাদ পাওয়া।

মশলা চায়ে সাধারনত চিনি ও দুধের সাথে থাকে এলাচ, দারুচিনি ,লবঙ্গ, জ়োয়ান ইত্যাদি মশলা যা ভেষজ গুনাবলী সমৃদ্ধ। এসব মশলায় রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কেরোটিন ও জরুরী মিনারেল যা স্বাস্থ্যের জন্য বয়ে আনে বাড়তি সুফল। এই চায়ে ক্যাফেইন এর পরিমাণ খুব সামান্য । আয়ুর্বেদিক তত্ত্ব অনুযায়ী, মশলা চায়ে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ শরীরকে সতেজ ও প্রানবন্ত করে এবং মনকে রাখে প্রফুল্ল।

মশলা চা পানের উপকারিতাঃ
মশলা চায়ে ব্যবহার্য সকল মশলাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। শুধু গরম মশলার ব্যবহার যেন এক কাপ চা পানের উপকারিতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। চায়ে ভেষজ বা মশলা ব্যবহারের ফলে এরা পরিপাকে সাহায্য করে।এতে অল্প মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে বলে সাধারণ দুধ চা অপেক্ষা এই চা কম ক্ষতিকর। মৌসুমি সর্দি ও কাশি প্রতিরোধেও এই চা অত্যন্ত চমৎকার কাজ দেয়। মশলা চায়ে একই সঙ্গে হরেক রকম মশলার উপস্থিতি হতে পারে আপনার নানাবিধ সমস্যার সমাধান।
মশলা চা গরম বা ঠান্ডা অবস্থায় পান করা যেতে পারে। তবে গরম অবস্থায় পান করাই শ্রেয়। সুস্বাস্থ্যকর এই মশলা চা তৈরি করা বেশ সহজ। আসুন জেনে নেই অল্প সময়ে কিভাবে মশলা চা তৈরি করা যায় ।

উপকরণঃ
পানি-২ কাপ

এলাচ- ২টি

দারূচিনি- ২ টি

লবঙ্গ- ৩/৪টি

জোয়ান- ১/৪ চা চামচ

চিনি- ২ চা চামচ

চা পাতা- ২ চা চামচ

দুধ-২ কাপ

প্রস্তুত প্রণালীঃ
* পাত্রে পানি নিয়ে তাতে এলাচ,দারুচিনি ,লবঙ্গ ও জোয়ান গূড়ো দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন । অতঃপর তাতে চা পাতা দিন। ।অল্প আঁচে মিশ্রণ্টিকে ফুটান ।* যখন মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করবে তখন তাতে চিনি দিন ।

* পানি শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে তাতে দুধ মেশান ।

* এই অবস্থায় আরো ২ মিনিট ফুটান এবং নিমিয়ে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিন ।

* চায়ের মিষ্টতা বাড়াতে চাইলে চিনির সাথে মধু মেশাতে পারেন ।

* এবার আর কী, আপনার পছন্দের কোনো নাস্তার সাথে উপভোগ করুন চমৎকার এক কাপ স্বাস্থ্যকর চা ।