মাত্র আড়াই বছর বয়সে কলকাতা দূরদর্শনের একটি ডকুমেন্টরি ফিল্ম দিয়ে শুরু। এরপর কিছুদিনের বিরতি। সেসময় মধ্যবিত্ত বাবা-মা চাননি মেয়ে এতটুকু বয়সে অভিনয় করুক। বাবা অলোক রায় তখন ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, ভাগ্য বলেও তো একটা কথা আছে। আসতে শুরু করল একের পর এক কাজের সুযোগ।

অভিনয়ের মজা কাঁধে চেপে বসল ছোট্ট দিতিপ্রিয়ার। পুরোদমে অভিনয় শুরু করল সে। এখন তার বয়স ১৫। এই বয়সেই নিজের ও পরিবারের অন্ন সংস্থানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। সংসার চলে তার রোজগারে। বাবা অলোক রায় ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বও দিতিপ্রিয়ার কাঁধে।

একান্নবর্তী পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে থাকা দায়। তাই বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে অন্যত্র বাড়ি ভাড়া করে থাকে সে। ঘরের কাজেও পটু। ঘরের কাজে মাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। লেখাপড়াতেও ভালো। ক্লাস নাইনেও পঞ্চম স্থান পেয়েছে। এর মধ্যেই ঋতুপর্ণ ঘোষ, অনুরাগ বসু, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায় সহ বহু পরিচালকের সঙ্গে কাজ করা হয়ে গিয়েছে আজকের রানি রাসমণি ওরফে দিতিপ্রিয়া রায়ের।

ধারাবাহিকের ঝুলিও পরিপূর্ণ। মা, দুর্গা, অপরাজিত, তারে আমি চোখে দেখিনি, সাধক বামাক্ষ্যাপা সবেতেই তাকে দেখেছে দর্শকরা। টিভি সিরিজ ব্যোমকেশেও অভিনয় করেছে অভিনেত্রী।