প্রশ্ন - অনেকেই বলছেন গৌরি নাইট ক্রিম নাকি ভালো। ত্বক ফর্সা করে ও ব্রণের দাগ দূর করে। আসলেই কি এই ক্রিম ভালো কাজ করে? আর দাম কত? কোন ক্ষতিকর পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে? 

উত্তর - আমার জানা মতে এই এটি একটি লাইসেন্স বিহীন ক্রিম। ব্যবহারে কিছুটা ফর্সা হলেও, এটি ব্যবহার না করাই ভাল, এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। কারণ এই সকল রং ফর্সাকারী ক্রিমে ক্ষতিকারক ক্যামিকেল থাকে। যা ত্বকে র‍্যাস, ত্বক জ্বলে যাওয়া, চামড়া ওঠা, লাল হয়ে যাওয়া বা লোম ওঠার কারণ হতে পারে। তাই না জেনে এই ক্রিম ব্যবহার না করে রেজিসস্টার্ড ডাক্তারের শরণাপন্ন হউন। তবে যদি আপনার ত্বকে ব্রণের দাগ থেকে থাকে তবে বেটনোভেট এন লাগাতে পারেন। আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান হবে। আর ত্বকের রং ফর্সা করতে নানা রকম প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার করতে পারেন। 

রং ফর্সা করতে হলুদ

হলুদ পেস্ট
সকালে ৫০ গ্রাম দুধের মধ্যে ৪-৫টি বাদাম, জাফরান মিশিয়ে রাখুন। রাতে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট করুন। রাতে এই পেস্ট মুখে ও গলায় লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। সকালে উঠে পর্যাপ্ত ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পর পর ২ সপ্তাহ করে দেখুন আপনিও হয়ে গেছেন দুধে আলতা বরণী মেয়ে।

বেসনের পেস্ট
বেসন, লেবুর রস ও কাঠবাদাম একসঙ্গে পেস্ট করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেসন ও লেবুর রস মুখের মৃত কোষ, কালোদাগ দুর করতে সহায়তা করে। বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে রং করে ফর্সা দীপ্তিময়।

কলার পেস্ট
কলা ও দুধ একত্রে পেস্ট করে মুখে ও ঘাড়ে ১৫ মিনিট রেখেদিন। তারপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃন করতে কলার কোন জুড়ি নেই। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা না করায় ভাল।

দই-মধুর পেস্ট
ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন করতেও মধু খুব কার্যকর। টকদই, মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ২০ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে কিছুদিন পরেই দেখতে পাবেন আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশী উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

মসুর ডালের পেস্ট
মসুরের ডাল, কাঁচা দুধ সামান্য, লেবুর রস এবং চালের গুড়া একসঙ্গে পেস্ট করে তৈরি করুন স্ক্রাব। সপ্তাহে তিন দিন ব্যাবহার করুন। আপনার ত্বক হবে আরো পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল।