সুপ্রিয় পাঠক, কেমন আছেন সবাই, আজ আবারো হাজির হয়েছি নতুন একটি টিপস নিয়ে। কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ। কাঁঠালের বিচি আমরা অনেক মজা করে খাই। ভাঁজি করে বা সবজি, মাছ বা মাংস দিয়ে রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে। কিছু বছরের একটি মাত্র সময় কাঁঠালের বিচি পাওয়া যায়। অন্য সময় কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করে খাওয়া গেলে কেমন হতো? আজ সেই টিপসই দেখাবো আপনাদের।

সামনে জ্যৈষ্ঠ মাস, পাওয়া যাবে কাঁঠাল, তাই আগে থেকে জেনে নিন এই টিপস।

ট্রেডিশনাল পদ্ধতি -

এই পদ্ধতিতে ছাই এর সাহায্যে সংরক্ষণ করা যাবে কাঁঠালের বিচি। প্রথমে কাঁঠালের বিচি গুলো সংগ্রহ করে ভালো করে পরিস্কার করে নিন। তার পর একটি পাত্রে প্রথমে ছাই বিছিয়ে নিন। তার পর কাঁঠাল গুলো এই ছাই এর ভিতর দিয়ে দিন। মনে রাখবেন পরিস্কার করার সময় কাঁঠালের বিচি এর খোসা ছাড়ানো যাবে না। বিচি গুলো দিয়ে দেওয়ার পর আবার ছাই দিয়ে দিতে হবে উপরে। তার পর বিচি গুলো ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। মনে রাখবেন ভালোভাবে পুরো বিচি ছাই এই ছাই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।  

এবার একটি মাটির হাড়ি নিন। তার ভিতরে প্রথমে ছাই দিয়ে দিন। এর পর ছাই মাখা বিচি গুলো চিয়ে দিন। তার পর আবার ছাই দিয়ে দিন। বিচি গুলো পুরো ছাই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার পাতিলের ঢাকনা দিয়ে ঠান্ডা যায়গায় সংরক্ষণ করুন। 

ফ্রিজিং পদ্ধতি - 

এই পদ্ধতিতে প্রথমে কাঁঠালের বিচি গুলো ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নেই। তার পর এই বিচি গুলোর খোসা ছুরি দিয়ে বা হাত দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে পানি গরম দিয়ে তাতে পরিস্কার করা কাঁঠালের বিচি গুলো দিয়ে দিন। সাথে দিয়ে দিন এক চিমটি লবন। আমরা পুরো সিদ্ধ করবো না সিদ্ধ থেকে একটু কম অবস্থায় আমরা নামিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেবো। হালকা সেদ্ধ করার পর বিচি এর সাথে থাকা পাতলা পর্দা সহজে উঠে নেবে। তাই এই সময় বিচি গুলো পরিস্কার করে নিন। এবার একটা এয়ার টাইট বক্সে দিয়ে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন সারা বছরের জন্য। 

আশা করি আমাদের টিপস আপনাদের ভালো লেগেছে। আরও নতুন নতুন টিপস পেতে এখুনি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।