উপকরণ

– এক লিটার দুধ
– এক চামচ দই
– মাটির ছোট দুটি ভাঁড়
প্রণালী

১) একটি নন-স্টিক সসপ্যানে দুধ ঢেলে চুলোয় একটু গরম করে নিন। সাবধান, দুধ ফুটাবেন না কিন্তু! সামান্য গরম করতে হবে শুধু। এমনভাবে গরম করবেন যাতে এর মাঝে আঙ্গুল ডুবিয়ে দেখা যায় গরম হয়েছে কী না। খাবারে ব্যবহারের থার্মোমিটার থাকলে দেখে নিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়েছে কি না। গরম হলে চুলা নিভিয়ে দিন।
২) এরপর এই গরম করা দুধ মাটির ভাঁড় দুটোয় ঢেলে নিন। এক্ষেত্রে মাটির ভাঁড় ব্যবহার করা ভালো কারণ তাতে দই থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয় যাবে আর দই খুব ভালো জমবে। মাটির ভাঁড় না থাকলে, কাঁচ, প্লাস্টিক বা স্টিলের বাটিতেও দই জমাতে পারেন।
৩) এবার এই মাটির ভাঁড়ে থাকা দুধের মাঝে সামান্য পরিমাণ দই দিতে হবে। চা চামচের মাথায় করে সিকি চামচ দই দুধের মাঝে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটা ভালো করে মনে রাখবেন যে দই পাতার জন্য পুরনো দই ব্যবহার করাটা জরুরী। নিজের বাসায় না থাকলে অন্তত প্রতিবেশীর বাসা থেকে এক চা চামচ দই নিয়ে আসুন। খুব অল্পই প্রয়োজন হবে।
৪) এরপর দই পাতা পাত্র রেখে দিন কক্ষ তাপমাত্রায়। কিচেন কেবিনেটে রাখতে পারেন বা একটি বড় বোল চাপা দিয়ে টেবিলেও রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই উষ্ণ জায়গায় রাখতে হবে। ঠাণ্ডা জায়গায় রাখা যাবে না। আর ফ্রিজে তো রাখাই যাবে না।
৫) এভাবে ৬-৮ ঘন্টা রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে দই। শীতকালে আরেকটু বেশি সময় রাখতে পারেন। গরমকালে আরো কম সময় লাগতে পারে। তবে এর ওপর নজর রাখা জরুরী। কারণ গরমকালে বেশি সময় বাইরে রেখে দিলে দই টকে নষ্ট হয়ে যাবে। যখন দেখবেন দই জমে গেছে, তখন একে ফ্রিজে রাখতে পারেন, রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন অথবা খেয়ে নিতে পারেন তখনই।