মঙ্গলবার প্রায় চুপিসাড়ে বিয়েটা সেরে ফেললেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। পাত্র অনির্বাণ বিশ্বাস। পেশায় সাংবাদিক। শ্বশুরবাড়িতে এখন বাসবদত্তাই সকলের মধ্যমণি। পাত্র অনির্বাণ বিশ্বাস পেশায় সাংবাদিক। বাসবদত্তা বললেন, ‘‘এক কমনফ্রেন্ডের মাধ্যমে অনির্বাণের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। কয়েক বছর যোগাযোগের পরে গত নভেম্বর মাসে বিয়েটা ঠিক হয়।’’

বিয়ের দিন ম্যাজেন্টা তসর বেনারসিতে অপূর্ব লাগছিল সুন্দরী এই অভিনেত্রীকে। আর রিসেপশনে গোল্ডেন কপার বেনারসিতেই বাজিমাত অভিনেত্রীর। বিয়ের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে স্মৃতিবহুল কোন ঘটনাটি? ‘‘পিঁড়ি তোলার সময় বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! ভেবেছিলাম, পড়েই যাব। আর বিয়ের শেষে বাসরঘরেও খুব মজা হয়েছে,’’ অভিনেত্রীর গলায় এখনও টাটকা সেই মুহূর্তগুলো। বিয়ের মেনুতে ছিল প্রথাগত বাঙালি খাবার। কড়াইশুঁটির কচুরি, কাশ্মীরি আলুর দম, ছানার পাতুড়ি, ফুলকপির রোস্ট, বাসন্তী পোলাও, ফিশ রোল, মাটন, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, সীতাভোগ, কেশরভোগের মতো লোভনীয় পদেই রসনা তৃপ্ত হয়েছে নিমন্ত্রিতদের।

বিয়ের দিন উপস্থিত ছিলেন বাসবদত্তার ঘনিষ্ঠ কয়েক জন টলিউডের অভিনেতা। চমকপ্রদ বিষয় হল, অভিনেত্রী সুদীপা বসু বাসবদত্তার সাজ থেকে বিয়ের উপহার সামলানো... গোটাটাই সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে।

বিয়ে নিয়ে প্রথম দিকে বেশ টেনশনে ছিলেন ‘আসা যাওয়ার মাঝে’র অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার রিসেপশনের দিন বিকেলে বললেন, ‘‘আজ আমি অনেকটাই চাপমুক্ত।’’ তবে শ্বশুরবাড়িতে আসার পরে বাসবদত্তাই হয়ে উঠেছেন সকলের মধ্যমণি। ‘‘এখন তো মনে হচ্ছে, আমিই প্রধান অতিথি। গ্লাসের জলটাও অন্যরা এগিয়ে দিচ্ছে,’’ হাসি চলকে ওঠে বাসবদত্তার কণ্ঠে। আমাদের পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা রইল নবদম্পতিকে।