তেল মানেই চিপচিপে চুল, স্টাইলের দফারফা! তাই চুলে তেল দেওয়ার ব্যাপারে অনেকেরই বেশ খুঁতখুঁতুনি থাকে। অয়েল মাসাজ বা শ্যাম্পু করার আগে ছাড়া চুলে তেল ছোঁয়াতে চান না তাঁরা। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তত সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞেরা চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় তেলের ভূমিকা নিয়ে ওয়াকিবহাল করছেন। তাঁদের মতে, শুধু ডিপ কন্ডিশনিং করে চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব নয়। ত্বক কোমল রাখতে যেমন ময়েশ্চারাজ়িং করা দরকার, তেমনি নিয়মিতভাবে চুলে তেল লাগানোও একইরকম গুরুত্বপূর্ণ।

সমস্যা হল, সব তেল সবার চুলের জন্য মানানসই নয়। তেল লাগালে অনেকেরই যে চিপচিপে ভারী অনুভূতি হয়, তার কারণ ওই বিশেষ তেলটি তাঁর চুলের গঠনের সঙ্গে মানাচ্ছে না। কী করে বুঝবেন কোন তেল আপনার পক্ষে ঠিক? নির্ভর করবে আপনার চুলের ধরনের উপর। মিলিয়ে নিন আপনার চুল ঠিক কেমন আর বেছে নিন উপযুক্ত তেল। চুলের সৌন্দর্য বা স্বাস্থ্য নিয়ে আর ভাবতে হবে না, গ্যারান্টি!

হালকা টেক্সচারের পাতলা চুল
আপনার দরকার রোজ়মেরি তেল বা নারকেল তেল। তবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে হলে শুধুমাত্র ভার্জিন নারকেল তেলই লাগাবেন। ভার্জিন নারকেল তেল সাধারণ নারকেল তেলের তুলনায় হালকা, তেলতেলেভাবও নেই। পাতলা চুলে এই তেল একদিকে যেমন পুষ্টি জোগায়, তেমনি চটচটেও হতে দেয় না।

মোটা, ঘন চুল
মোটা, ঘন চুলের জন্য অলিভ অয়েল একদম ঠিকঠাক। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর অলিভ অয়েল চুলের জট ছাড়িয়ে তাকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।

কোঁকড়া চুল
ঢেউ খেলানো, কোঁকড়া চুলের মালকিনরা বেছে নিন সুইট আমন্ড অয়েল। এ, বি এবং ই ভিটামিন সমৃদ্ধ এই তেল চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।

বিবর্ণ চুল
নিষ্প্রাণ, বিবর্ণ চুলের হাল ফেরাতে আপনার ভরসা পোমেগ্রেনেট সিড অয়েল বা ডালিমবীজের তেল। যে কোনও বড়ো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা সালোঁয় পেয়ে যাবেন ডালিমবীজের তেল। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের নমনীয়তা বাড়বে, ফিরে আসবে চুলের স্বাভাবিক ঝলমলে সৌন্দর্য।

শুকনো, রুক্ষ চুল
আপনার দরকার অ্যাভোকেডো তেল। এই তেলে প্রোটিন আর অ্যামাইনো অ্যাসিডের পাশাপাশি বেশি মাত্রায় এ, ডি এবং ই ভিটামিন থাকে। অ্যাভোকাডো তেল হালকা, চুলে মিশেও যায় খুব দ্রুত। রুক্ষতা কমিয়ে চুল কোমল ও শক্তিশালী করে তুলতে জুড়ি নেই এই তেলের।