লিপস্টিক, আইশ্যাডো সব ঠিকঠাক ব্যবহার করলেন। এমনকি এর আগে ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস মেকআপটাও করে নিয়েছেন। তবু মনে হচ্ছে কোথায় কিসের যেন কমতি। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে কনসিলার। চোখের নিচের কালো দাগ, ব্রণের দাগ বা বড় লোমকূপ ঢেকে দিতে ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার। এটি ফাউন্ডেশনের মতোই, কিন্তু একটু ঘন এবং ভারী কভারেজের।

কত রকম কনসিলারমূলত কনসিলারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি রঙের অসামঞ্জস্যতা ঢাকার জন্য, যাকে বলা হয় কালার কারেকটিং কনসিলার, অন্যটি দাগ ঢাকার জন্য ভারী কভারেজ দেয় এমন কনসিলার। অনেকেরই মুখের বিভিন্ন অংশের যেমন চোখের নিচে, চিবুকে অথবা নাকের পাশে রঙের বিভিন্নতা দেখা দেয়। এ রকম অসামঞ্জস্যতা ঢাকতে ব্যবহার করা হয় কালার কারেকটিং কনসিলার। এটি ব্যবহার করতে হলে কালার থিওরি এবং কালার হুইল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এ কারণে কালার কারেকটিং কনসিলার মূলত পেশাদার রূপবিশেষজ্ঞরাই ব্যবহার করেন। সাধারণ কভারেজ দেয় এমন কনসিলার ব্যবহার করা হয় ত্বকের ছোট-বড় দাগ ঢেকে ফেলতে। এ ছাড়া ব্রণ বা অন্য কোনো দাগও ঢেকে ফেলা যায় এ দিয়ে। এ ধরনের কনসিলারগুলো নানা শেডের, নানা ঘনত্বের হয়ে থাকে। এগুলো তরল, ক্রিম বা স্টিক আকারে বাজারে পাওয়া যায়। চোখের নিচের পাতলা ও সংবেদনশীল চামড়ার জন্য প্রয়োজন হয় হালকা ঘনত্বের তরল অথবা ক্রিম কনসিলার আর গাঢ় ব্রণের দাগের জন্য চাই বেশি কভারেজ দেয় এমন কনসিলার।

কীভাবে কনসিলার বেছে নেবেন?

কনসিলার আর ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়ার নিয়ম একই।
 দোকানে ব্যবহার করতে দেওয়া নমুনা কনসিলার নিজের ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
 যখন ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন, তখন পর্যাপ্ত আলো আছে কি না দেখে নিন।
 শুধু চোখের নিচে ব্যবহারে জন্য ত্বকের রঙের চেয়ে এক অথবা দুই শেড হালকা কনসিলার নিন। চোখের নিচে ত্বকের রং সাধারণত একটু কালচে হয়ে থাকে, এক অথবা দুই শেড হালকা কনসিলার এই রঙের পার্থক্য দূর করবে এবং চোখের নিচে হাইলাইটার হিসেবেও কাজ করবে।
 দৈনন্দিন ব্যবহারের কনসিলার হতে হবে হালকা থেকে মাঝারি কভারেজের এবং কম ঘনত্বের। যেগুলো ত্বকের জন্য আরামদায়ক হবে এবং ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেবে না। কোনো নির্দিষ্ট দাগ ঢাকার জন্য শুধু সেই স্থানে ভারী কভারেজ দেয় এমন কনসিলার ব্যবহার করুন।

ব্যবহার
কনসিলার ফাউন্ডেশনের আগে বা পরে যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, যদি পরে ব্যবহার করেন তাতে ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় কনসিলার ছড়িয়ে যাওয়ার বা বেশি ব্লেন্ড হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আর এটি হাতের আঙুলের সাহায্যে চেপে চেপে ত্বকে মিশিয়ে দেওয়াই ভালো। আমাদের দেহের তাপমাত্রা কনসিলার ভালোভাবে ব্লেন্ড হয়ে যেতে সাহায্য করে। অথবা যেকোনো কোমল কনসিলার ব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন। কনসিলার লাগানোর পর তার ওপরে ট্রান্সলুসেন্ট, প্রেসড, সেটিং বা যেকোনো ধরনের পাউডার লাগিয়ে নিন, যাতে কনসিলার ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে বসে যায়। পাউডারের ব্যবহার কনসিলারকে দীর্ঘস্থায়ী করতেও সাহায্য করে।