মালয়েশিয়া থেকে ঢাকাগামী মালিন্দ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কী করেনি নোয়াখালীর তরুণটি! ল্যাপটপে অশ্লীল ছবি! তাও আবার নগ্ন হয়ে! ওই অবস্থাতেই শৌচাগারে! উড়োজাহাজের কর্মীরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা। কারো কথা তো শুনেননি, করেছেন আরো জঘন্য কাজ।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঘটলেও গণমাধ্যমে আসে তা অনেক দেরিতে। যুক্তরাজ্যর ডেইলি মেইল, ডেইলি সান, ভারতের টাইমস নাও, হিন্দুস্থান টাইমস, এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, মালয়েশিয়া টুডে, ডন, স্টার অনলাইনসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানায়, ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণের নাম দিদার (২০)। তার বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায়। দিদার মালয়েশিয়ার সাইবারজায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দিদার মালিন্দ এয়ারলাইন্সে পর্নোগ্রাফি দেখার পাশাপাশি বিমানেই নগ্ন হয়ে স্বমেহনে লিপ্ত ছিল। এ সময় তাকে এসব না করার জন্য বলা হলে বিমানবালার ওপরও চড়াও হন।

মালয়েশিয়ার মালিন্দ এয়ারলাইন্সের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, মালিন্দ এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬২ বিমানটি যখন আকাশের ৩৯ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল, ঠিক সে সময়ে দিদার সিটে বসেই তার ল্যাপটপে পর্নোগ্রাফি দেখা শুরু করেন। এক পর্যায়ে সে তার সব কাপড় খুলে ফেলেন এবং নগ্ন হয়ে স্বমেহনে লিপ্ত হন।

ঘটনায় বিব্রত হয়ে বিমানবালা ছুটে আসেন এবং তাকে কাপড় পড়তে অনুরোধ করেন। কিন্তু দিদার তাতে কর্ণপাত না করে উল্টো ওই বিমানবালাকে জড়িয়ে ধরেন। ঘটনায় বিমানবালা চরম বিব্রত হন এবং যাত্রীদের সহায়তায় মুক্ত হন।

ভারতের টাইমস নাও জানায়, এ ঘটনার সময় ওই যাত্রী নগ্ন অবস্থায়ই টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরে এসে নগ্ন অবস্থায়ই তার সিটে অবস্থান করেন এবং সেখানেই মূত্রত্যাগ করেন। এসব ঘটনায় অন্যান্য যাত্রীরা যখন চরম বিব্রত ঠিক সে সময়ে বিমানে ক্রুরা এসে বাংলাদেশি ওই তরুণের দুই হাত বেঁধে ফেলেন এবং সিটের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

পরবর্তীতে বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে দিদারকে কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন বিমানের নিরাপত্তাকর্মীরা। বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করলে দিদারকে বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনায় মালিন্দ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে ওই ফ্লাইটে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে এবং নিরাপদ ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দেয়।