উপকরণঃ চালকুমড়া, চিনি, দারুচিনি ও এলাচ, তেজপাতা ও ঘি।

পরিমাণঃ চালকুমড়া ২ কেজি, চিনি ৭৫০ গ্রাম, ২/৩ টি দারুচিনি ও এলাচ, ২ টা তেজপাতা, সামান্য ঘি

প্রণালিঃ ভালো ভাবে পাকা চাল কুমড়া খোসা এবং বীজ ফেলে দুই ইঞ্চি পুরু করে লম্বা ফালি করতে হবে। এবার কাঁটা চামচ দিয়ে উভয় দিকে ভালো করে কেচে নিন। পুরো কুমড়া কেচে নেয়া হলে দুই বা তিন ইঞ্চি লম্বা করে ছোট ছোট আকার দিতে হবে। এবার একটা পাত্রে পানি দিয়ে কুমড়া গুলো হালকা ভাবিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা হলে কুমড়ো যতটা পারা যায় চিপে পানি ফেলে দিন। এবার আলাদা একটা কড়াইতে চিনি ঢেলে হালকা পানি আর মসলায় মৃদু আঁচে নাড়তে থাকুন।

আগুনের মাত্রা বেড়ে গেলে চিনি পুড়ে কালো হয়ে যাবে। তাই মৃদু আঁচে চিনি গলে পানি হয়ে গেলে চিপে রাখা কুমড়ার টুকরো ছেড়ে দিন। এবার একই আঁচে ধৈর্য ধরে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়। আস্তে আস্তে পানি শুকিয়ে কুমড়ার গায়ে আঠা হয়ে লেগে আসবে। প্রায় শুকিয়ে এলে নামিয়ে বড় ট্রেতে মোরবাবা গুলো আলাদা আলাদা করে পাশাপাশি রেখে ঠান্ডা হতে দিন।

প্রতিটি মোরব্বার ঠিক যতটুকু চিনিতে আবৃত হওয়া প্রয়োজন ততটুকুই লেগে থাকবে। বাকি চিনি কড়াইতে থেকে যাবে। এবার মোরব্বা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কাঁচের বয়ামে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যাবে। দীর্ঘদিন রেখে খেতে চাইলে নরমাল ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। যখন তখন মিষ্টি মুখ আর বাচ্চাদের বায়না মেটাতে দারুণ উপযোগী কুমড়ার মোরব্বা।