চুল নষ্ট করার প্রথম ধাপ হচ্ছে চুল রিবন্ডিং বা সোজা করা,চুল সোজা করার পর আপনার চুল ঝরে পরার পরিমান চারগুন বাড়বে, চুল একদম পাতলা হয়ে যাবে,পার্লারএ যে ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে চুল সোজা করা হয়,ওটার ব্যবহারের ফলে চুল অনেক সময় পেকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে, আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এক বছর পর যে চুল বের হয় সেটা না সোজা থাকে না কোকড়ানো,তবে এরপর ও আপনি যদি করতে চান তাহলে আমি বলব অবশ্যই সনামধন্য পার্লার বেছে নেবেন এবং ওদের আফটার রিবন্ডিং যে হেয়ার ট্রিটমেন্ট আছে সেগুলো মাঝে মাঝে করবেন, তবে আপনার চুল পড়বে এটা নিশ্চিত,এটা আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

অনেকে রিবন্ডিং ও কালার করার পর চুলের সঠিক যত্ন নিতে পারেন না। ফলে চুল স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। সব ধরনের চুলেরই রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। কিন্তু অনেকে কোঁকড়া চুলকে ঝামেলা মনে করে রিবন্ডিং বা স্ট্রেট করেন। কিন্তু রিবন্ডিংয়ের পর অনেকে মনে করেন চুল রিবন্ডিং করে ফেলেছি আর যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এভাবে ধীরে ধীরে চুল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। চুল রুক্ষ ও ড্যামেজ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই ভালো কোনো বিউটি সেলুন থেকে আপনার চুলের রিবন্ডিং করে নিন। রিবন্ডিংয়ের পর চুলের ক্ষতি হওয়ার আগেই যত্ন নেওয়া উচিত। যারা চুল রিবন্ডিং করে বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছেন জেনে নিন

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন:

*সপ্তাহে ২ দিন রাতে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন

*কিছুক্ষণ চুল আঁচড়ে নিন, এতে রক্ত সাঞ্চালন বাড়বে

*শ্যাম্পু করার আগে ১ টি ডিম, ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং সমপরিমাণ মধু দিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথার তালুতে লাগান। একঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন

*গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে আধা ঘণ্টা চুল পেঁচিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। চুলের রুক্ষভাব কমবে

*রিবন্ডিং করা চুল খুলে রাখা হয় বলে দ্রুত ময়লা জমে। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন *সাধারন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হলে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন

*শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে

*চুল নিস্তেজ হয়ে পড়লে শ্যাম্পু করার পর দুই লিটার পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

*চুল ভেঙে গেলে সপ্তাহে একবার হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। হখুশকির সমস্যা বাড়লে মাথার স্ক্যাল্পে লেবু বা পেঁয়াজের রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

*চুল রুক্ষ হলে গোসলের পর এক মগ পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল মসৃণ হবে।

*চুল সিল্কি করতে চার কাপ পানিতে চা-পাতা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে সেই পানিতে চুল ধুয়ে নিন।

*নারিকেল তেলের সঙ্গে কাঁচা আমলকি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে রেখে দিন। প্রতিদিন গোসলের এক ঘণ্টা আগে মিশ্রণটি পুরো মাথায় স্কাল্পে লাগিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। তারপর রিঠা ভেজানো পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শেষে অল্প পানিতে কয়েক ফোটা মধু ও চায়ের লিকার মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত যত্ন নিলে চুল হবে আরও সিল্কি এবং কাংঙ্খিত সুন্দর।