আশির দশকের জনপ্রিয় জুটি মিঠুন-শ্রীদেবী। রুপালী পর্দার এই জুটি একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এই রোমান্টিক জুটির সিনেমা আজও গেথে রয়েছে দর্শকদের হৃদয়ে। পর্দার মতন রিয়েল লাইফেও প্রেমে পড়েন এই জুটি। গুঞ্জন রয়েছে গোপনে বিয়ে করেছিলেন এই জুটি। কিন্তু দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় পরিনতি পায়নি এই সম্পর্ক।

মিঠুন শ্রীদেবীর প্রেমের সুত্রপাত ঘটে জাগ উঠা ইনসান সিনেমায়। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার পরিচালক ছিলেন রাকেশ রোশন। এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে ছিলেন শ্রীদেবী, মিঠুন চক্রবর্তী এবং রাকেশ রোশান। চমৎকার প্রেম কাহিনী নির্ভর এই সিনেমা যেমন দর্শকদের মনে যায়গা করে নেয় ঠিক তেমন বাণিজ্যিক ভাবেও সাফল্য পায়। এই সিনেমায় কাজ করার সময় রোমান্সে মাতেন এই জুটি এমনটায় জানায় সে সময়কার বিনোদন ম্যাগাজিনগুলো। ১৯৮৪ সালে শ্রীদেবীর সঙ্গে যখন মিঠুনের প্রেম জমে ওঠে তখন এ অভিনেতার দাম্পত্য জীবন দুজনের প্রেমে পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এই দুইজনের প্রেমের দৃশ্যপটে বনি কাপুরের আবির্ভাব ঘটে ১৯৮৪ সালে। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমা করার সময় প্রযোজক বনি কাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে শ্রীদেবীর। অসাধারণ সুন্দরী এই অভিনেত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হন বনি কাপুর। যদিও সে সময় বিবাহিত ছিলেন বনি কাপুর। মিঠুনের প্রেমে মগ্ন থাকায় সে সময় বনি কাপুরের আহ্বানে সাড়া দেননি শ্রীদেবী। বনি কাপুরের প্রযোজনায় একের পর এক সিনেমায় কাজ করতে থাকেন শ্রীদেবী। শ্রীদেবী তখনো মিঠুনের সঙ্গেই সম্পর্ক ধরে রাখেন। 

শ্রীদেবী নাকি সব সময় চেয়েছিলেন মিঠুনকে বিয়ে করতে। কিন্তু শ্রীদেবীকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসলেও মিঠুনের পক্ষে তার স্ত্রী যোগিতা বালিকে ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি। এই সব কারনেই তাদের সম্পর্কের ভাটা পড়ে। ১৯৮৯ সালে এই জুটির সর্বশেষ সিনেমা গুরু মুক্তি পায়। এরপর থেকে তাদের প্রেমে ভাঙনের সুর বাজে। দুজনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে একদিকে যেমন রয়েছে শ্রীদেবীর প্রতি বনি কাপুরের আগ্রহ, অন্যদিকে রয়েছে যোগিতা বালির হস্তক্ষেপ। সংসার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন যোগিতা বালি। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। এই চেষ্টার পরই শ্রীদেবীর সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে বাধ্য স্বামীর মতো ঘরে ফেরেন মিঠুন। আর বনি কাপুরকে নিয়ে নিজস্ব সংসার গড়ার স্বপ্নে মেতে ওঠেন শ্রীদেবী।