হৃদরোগে নয়, হোটেলের বাথটবে ডুবেই শ্রীদেবীর মৃত্যু, দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। হৃদরোগে আক্রান্ত নয়, জলে ডুবেই মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মাথা ঘুরে পড়ে যান বাথটবের জলে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ। গালফ নিউজের দাবি, শ্রীদেবীর শরীরে মিলেছে অ্যালকোহল। দুবাইতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বনি কপূরকে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।

শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে একগুচ্ছ প্রশ্ন তৈরি হচ্ছিল। রয়েছিল ধোঁয়াশাও। শেষমেশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেল, বাথটবে ডুবেই শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ডেথ বাই অ্যাক্সিডেন্টাল ড্রাউনিং। অর্থাৎ, দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে মৃত্যু। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুবাইয়ে রাত ১১টায় শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়।

এদিন নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলাটি দুবাই পাবলিক প্রোসিকিউশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা এবার আইনি সংস্থান অনুযায়ী পরবর্তী কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে।

এদিকে, গালফ্ নিউজের খবর, শ্রীদেবীর শরীরে মিলেছে অ্যালকোহল। সূত্রের খবর, মত্ত অবস্থায় বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন শ্রীদেবী। সেই সময়, কোনওভাবে, বেসামাল হয়ে বাথটবে পড়ে যান শ্রীদেবী।

একইসঙ্গে, ফরেন্সিক রিপোর্টেও ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে স্বাক্ষর রয়েছে আরব আমিরশাহীর স্বাস্থ্য দফতরের। এই প্রেক্ষিতে এদিনই বনি কপূরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে দুবাই পুলিশ। সূত্রের খবর, তাঁকে দুবাইতে আসতে বলা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গতকাল রাতেই দুবাই থেকে ভারতে ফেরেন বনি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে শ্রীদেবীর ফোন কললিস্ট।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। শ্রীদেবীর ডেথ সার্টিফিকেট দিল দুবাইয়ের হাসপাতাল। শ্রীদেবীর পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হবে এনওসি। কিন্তু, সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নতুন মোড় নেওয়ায়, শ্রীদেবীর দেহ সম্ভবত এখনই ছাড়া হবে না। সেক্ষেত্রে আরও দীর্ঘায়িত হবে অভিনেত্রীর নশ্বর দেহের দেশে ফেরা।

একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে খুশি এবং স্বামী বনি কপূরের সঙ্গে দুবাই গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। তারপর বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে, ২১ ফেব্রুয়ারি বনি এবং মেয়ে মুম্বই ফিরে এলেও, দুবাইয়ে একলা থেকে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। কেন একা রয়ে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী সেই নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসার পর ফের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাই যান বনি কপূর। এরমধ্যে, গত ৪৮ ঘণ্টা হোটেলের ঘর থেকে একমুহূর্তের জন্যে বাইরে পা রাখেননি শ্রী। অথচ বনি কপূর যেদিন যান, তার ঠিক আধ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রী। হোটেলের ঘরে দুজনের মিনিট পনেরো কথাও হয় বলে জানা যায়। তারপর দুজনেই ডিনার ডেটে যাবেন বলে ঠিক করেন। তারমধ্যেই ঘটে যায় এই অঘটন। এই ঘটনার পর হোটেলের গোটা ফ্লোর সিল করে দিয়েছে দুবাই পুলিশ।

খবর - এবিপি আনন্দ